কিছু ক্ষেত্রে না খেয়ে ওজন ঝরানো সহজ হলেও তা ধরে রাখা কিন্তু কঠিন। ছবি: সংগৃহীত।
কম সময়ে, শরীরকে বিশেষ কষ্ট না দিয়ে দ্রুত মেদ ঝরাতে চান। তাই সময় পেলেই শরীরচর্চা করেন। তবে ঘরে-বাইরে কাজ সামলে ঘাম ঝরানোর জন্য যেটুকু সময় পাওয়া যায়, তার উপর ভরসা করে পুজোর আগে ছিপছিপে হয়ে ওঠা প্রায় অসম্ভব। তাই নিজের মাথা থেকেই একটি ফন্দি বার করেছেন। ভেবেছেন, সারা দিনের মধ্যে যে কোনও একটি খাবার বাদ দিয়ে দিলেই অনেকটা ক্যালোরি বাদ চলে যাবে। এ ভাবেই শুয়ে, বসে অনেকটা মেদ ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কিছু ক্ষেত্রে না খেয়ে ওজন ঝরানো সহজ হলেও তা ধরে রাখা কিন্তু কঠিন। সঠিক পদ্ধতিতে ওজন ঝরাতেও বেশ সময় লাগে। ওজন ঝরানোর এই যাত্রাপথে শরীর যে যে পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়, তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ওঠা সহজ নয়। শরীরের ক্ষতি না করে, সব দিক বজায় রেখে তবে শরীরচর্চার পদ্ধতি এবং ডায়েট তৈরি করেন অভিজ্ঞ পেশাদারেরা। তাঁদের পরামর্শ না নিয়ে টানা কয়েক দিন ধরে এমন ভাবে না খেয়ে থাকার অভ্যাসে সাময়িক হালকা অনুভব করলেও শরীর এবং মনের উপর তা মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
না খেয়ে ওজন ঝরাতে গেলে শরীরের উপর কেমন প্রভাব পড়ে?
১) পিত্তথলিতে পাথর
শরীর তার নিজের নিয়মে ঘড়ি ধরে খাবার হজম করানোর উৎসচেক ক্ষরণ করে যায়। কিন্তু সে সময়ে পাকস্থলীর মধ্যে হজম করানোর মতো কিছু অবশিষ্ট না থাকলে সেই রস উদ্বৃত্ত হয়ে জমতে থাকে। এই ধরনের সমস্যা যাতে না হয়, সে কারণেই সারা দিন অল্প অল্প খাবার খেয়ে যেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা।
২) মানসিক স্বাস্থ্য
ওজন ঝরানোর পদ্ধতি যদি ভুল হয়, তা শারীরিক ভাবে ক্ষতি তো করেই। মনের উপরেও কম প্রভাব ফেলে না। ভাল খাবার দেখেও খেতে না পারা, শরীরচর্চা করেও চটজলদি ফল দেখতে না পাওয়ার অবসাদে অনেকেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। দিনের পর দিন উদ্বেগ বাড়তে থাকে। ঘাটতি দেখা যায় আত্মবিশ্বাসেও।
৩) পুষ্টির অভাব
কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার কম খেলেও শরীরে অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদানের অভাব যেন না ঘটে, সে দিকে খেয়াল রাখতে হয়। প্রোটিন, ভিটামিন, বিভিন্ন ধরনের খনিজের অভাবে শারীরবৃত্তীয় নানা রকম সমস্যা বাড়তে থাকে। ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যও খারাপ হয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy