রোজ ভাত খাওয়ার অভ্যাস বাড়াতে পারে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। ছবি: সংগৃহীত
বাঙালির হেঁশেল ভাত ছাড়া অসম্পূর্ণ। গরমে ঘামতে ঘামতে হোক কিংবা কনকনে শীতের দুপুর— বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। ধোঁয়া ওঠা এক থালা ভাত শুধু পেট ভরায় না, মন ও প্রাণেরও আরাম দেয়। ভাত না খেলে মনে হয় কিছুই যেন খাওয়া হয়নি।
কিন্তু এই প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক কালের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। গবেষকরা জানাচ্ছেন, রোজ ভাত খাওয়ার অভ্যাস বাড়াতে পারে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি। কারণ চালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতিকর আর্সেনিক। যা নিয়মিত শরীরে গেলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
নিয়মিত ভাত খাওয়ার অভ্যাস শরীরে কী ভাবে প্রভাব ফেলে?
গবেষণা বলছে, ভাতের মধ্যে দিয়ে আর্সেনিক শরীরে প্রবেশ করার ফলে ডায়াবিটিস, ক্যানসার, হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
ধান যেহেতু বেশ জলময় এলাকায় বোনা হয়, ফলে মাটিতে মিশে থাকা রাসায়নিক দ্রব্য আর্সেনিক জলে মিশে যাওয়ায় ধান সেই আর্সেনিক শোষণ করে নেয়। এই কারণে মাটিতে হওয়া অন্যান্য ফসলগুলির তুলনায় ধানে আর্সেনিকের পরিমাণ বেশি।
তবে গবেষকদের মতে, ভাতে থাকা আর্সেনিক থেকে আপনি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন সেটা নির্ভর করছে আপনি কী পরিমাণ ভাত খাচ্ছেন। রোজ ভাত খেলে একটু একটু করে এই রাসায়নিক দ্রব্য আপনার শরীরে জমাট বাঁধতে থাকবে। রোজ ভাত খাওয়ার অভ্যাস এক চরম পরিণতির দিকেও নিয়ে যেতে পারে। তবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ভাত খেলে ক্ষতির আশঙ্কা অনেকটাই কম থাকে।
কী ভাবে ভাত রান্না করলে ক্ষতির আশঙ্কা কম?
যে পরিমাণ চালে ভাত রাঁধছেন, তার থেকে অনেকটা বেশি জলে ভাত রাঁধলে আর্সেনিকের পরিমাণ কমবে।
এ ছাড়াও ভাত রান্নার আগে কয়েক ঘণ্টা চাল ভিজিয়ে রাখলে আর্সেনিক প্রভাব অনেকটা কমে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy