স্বাস্থ্যকর হলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনও কিছুই খাওয়া ভাল নয়। ছবি: সংগৃহীত
চড়ছে পারদ। বাড়ছে অস্বস্তি। মাথার উপর গ্রীষ্মের কড়া রোদ। বেশি আর্দ্রতার কারণে ঘাম হচ্ছে বেশি। গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে প্রক্রিয়াজাত পানীয়ের বদলে ভরসা রাখতে পারেন এমন ফলে, রাতে জল বেশি। গরমকাল এলে যে সব ফলের কদর বাড়ে, শশা তার মধ্যে অন্যতম। স্বাস্থ্যসচেতন যাঁরা, তাঁরা সারা বছরই খাবারের তালিকায় শশা রাখেন। শশা সুস্বাদু। আবার স্বাস্থ্যকরও। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। কিন্তু সঠিক সময়ে ও পরিমাণে না খেলে বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। হতে পারে বদহজমও।
বেশি শশা খেলে কী সমস্যা দেখা দিতে পারে?
শশা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যকর একটি ফল। কিন্তু স্বাস্থ্যকর হলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনও কিছুই খাওয়া ভাল নয়। শশাতে প্রায় ৯৫ শতাংশ জল থাকে। তাই বেশি পরিমাণে শশা খেলে পেট ফেঁপে যেতে পারে। শরীর আর্দ্র রাখতে শশা খাওয়া যেমন ভাল, তেমনই বেশি শশা খেলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যেতে পারে
শশা খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় আছে কি?
শশা বলে নয়, যে কোনও ফল খাওয়ারই নির্দিষ্ট সময় আছে। রাতে শশা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলাই ভাল। শশা এমনি হজম করতে সাহায্য করে। কিন্তু রাতে বেশি শশা খেলে বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরের অন্দরে কোনও সমস্যা হলে ব্যাঘাত ঘটে ঘুমেরও। ভারী কোনও খাবারের সঙ্গে শশা না খাওয়াই ভাল। সন্ধেবেলায় যদি কোনও ভারী খাবার খান, সে ক্ষেত্রে খাওয়ার কিছু ক্ষণ পর শশা খেয়ে নিতে পারেন। এতে হজম ভাল হবে। শশা হজমে সহায়তা করে। কিন্তু শশা নিজে হজম হতে সময় নেয়। ঘুমতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে শশা খেয়ে নেওয়া জরুরি। আর সবচেয়ে জরুরি হল একসঙ্গে শশা না খেয়ে, সারা দিনে অল্প অল্প করে শশা খাওয়া। তা হলে সমস্যা কম হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy