দুপুরে টক দই খেলে কী এমন উপকার পাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
দুপুরের খাবারে মাছ, মাংস থাক কিংবা ডাল, আলুভাজ— শেষপাতে টক দই না খেলে ভোজ সম্পূর্ণ হয় না অনেকেরই। টক দই খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা কম নয়। প্রতি দিন টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরাও। সামনেই শীতকাল। ঠান্ডার মরসুমে নানা রোগবালাই লেগেই আছে। সর্দি-কাশি ছাড়াও নানা সংক্রমণজনিত সমস্যা তো আছেই। টক দই শীতকালে রোগমুক্ত থাকতে সাহায্য করে। শুধু শীতকাল বললে ভুল হবে। সারা বছরই সুস্থ এবং ভিতর থেকে ফিট থাকতে দই খাওয়া জরুরি।
দই খাওয়ার কোনও নিয়ম নেই। দিনের যে কোনও সময়ে দই খাওয়া যেতেই পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খেলে বাড়তি কিছু সুফল পাওয়া যায়। দুপুরে দই খেলে ঠিক কী কী উপকার পাবেন?
ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে
দই খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে কথা ভুল নয়। কিন্তু দুপুরের খাবার খাওয়ার পর দই খেলে তবেই মিলবে এই সুফল। টক দই কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে দেয়। এই হরমোন বেশি ক্ষরণ হলে স্থূলতার ঝুঁকি থাকে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায় টক দই। দই খাওয়ার অন্যতম উপকারিতা এটাই। শরীর সুস্থ রাখতে তাই দই খাওয়ার সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। নিয়ম করে দই খেলে শীতকালীন অনেক রোগবালাইয়ের সঙ্গে সহজেই লড়াই করতে পারবেন।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে
রক্ত চাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে টক দইয়ের জুড়ি মেলা ভার। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য টক দই মহৌষধি। চিকিৎসকেরাও টক দই খেতে বলে থাকেন। রক্ত চাপের মাত্রা কমাতে টক দই সত্যিই ওষুধের মতো কাজ করে।
হজমের গোলমাল ঠেকাতে
টক দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক উপাদান। এই উপাদান পেটের খেয়াল রাখতে সত্যিই দারুণ উপকারী। টক দইয়ে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান হজমের গোলমাল দূরে রাখে। গ্যাস-অম্বলের ঝুঁকি কমাতেও টক দই খাওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy