কুসুম-সহ না কি কেবল ডিমের সাদা অংশ, কী খেলে ভাল? —প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিনের শুরু থেকে যে কোনও সময়ই ডিম খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, সকালের খাবারে প্রোটিন, ভাল ফ্যাট, শর্করার সঠিক ভারসাম্য দরকার। আর সেই ভারসাম্য পূরণ করতে, প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে ডিম।
ডিমের কুসুমের গুণাগুন
১. ডিমের কুসুমকে শক্তির অফুরন্ত ভাণ্ডার বলা চলে। ভিটামিন এ, ডি, ই, কে রয়েছে এতে। ফসফরাস, সেলেনিয়াম, আয়রন, ফোলেন, জিংকে ভরপুর ডিমের কুসুম।
২. আবার কুসুমে পাওয়া যায় কোলাইন নামে একটি উপাদান, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি যকৃতের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
৩. অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর ডিমের হলুদ অংশটি। অকাল বার্ধক্য রোধ করতে যা জরুরি। পাশাপাশি এতে থাকা ভিটামিন চোখের জ্যোতি বাড়ায়।
হার্টে রোগীরাও কি খেতে পারেন?
ডিমের কুসুমে রয়েছে ‘ডায়েটরি কোলেস্টরল’। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, ‘ডায়েটরি কোলেস্টেরল’ নয়। ‘দি আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ ডিম হার্ট ভাল রাখার জন্য ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
ওজন কমাতে চাইলেও কোনটা খাওয়া দরকার?
ডিমের কুসুম কেবল নয়, সাদা অংশটিও পুষ্টিগুণে ভরপুর। কুসুম-সহ ডিম খেলে শরীরে প্রোটিন ও পুষ্টিগুণ বেশি যায়। ক্যালোরির মাত্রাও বেড়ে যায়। কিন্তু একটি ডিম খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। অন্যান্য খাবার কমিয়ে দিলেও অসুবিধা হয় না। ফলে ওজন বশে রাখতে চাইলেও, কুসুম বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
পুষ্টিগুণের বিচারে ডিমের সাদা অংশের চেয়ে সবসময়ই এগিয়ে থাকে কুসুম-সহ সম্পূর্ণ ডিম। দিনের শুরু হোক বা অন্য সময়, তাই একটা ডিম খেলে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে।
প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। ডিম খাওয়া ভাল তবে অতিরিক্ত নয়। ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে, পুষ্টিবিদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট করে নেওয়া ভাল। হার্ট বা অন্য কোনও সমস্যা থাকলে, ডিমের কুসুম খাওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া দরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy