ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা যখন-তখন বাড়তে পারে, এ কথা জানেন অনেকেই। কিন্তু জানেন কি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত নন এমন ব্যক্তিদের দেহেও হঠাৎ বেড়ে যেতে পারে শর্করার পরিমাণ? বিজ্ঞানের ভাষায় এই অবস্থাকে বলে ‘হাইপারগ্লাইসেমিয়া’। উপবাসকালীন সময়ে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে শর্করার মাত্রা ১০০ মিলিগ্রামের বেশি হলে তাকে হাইপারগ্লাইসেমিয়া বলে। বার বার এই সমস্যা দেখা দিলে স্ট্রোক ও হৃদ্রোগের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে। কিন্তু কেন ঘটে এমন ঘটনা?

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম: এই উপসর্গে ভোগা নারীদের দেহে হরমোনের ভারসাম্যে সমস্যা দেখা দেয়। বেড়ে যেতে পারে টেস্টোস্টেরন, ইনস্যুলিন ও সাইটোকাইন ক্ষরণ। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।
২। মানসিক উদ্বেগ: মানসিক চাপ ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিতে পারে দেহের কর্টিসোল ও অ্যাড্রিনালিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা। এই হরমোনগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
৩। সংক্রমণ: বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ কর্টিসোলের ক্ষরণ বৃদ্ধি করে। এই হরমোন ইনস্যুলিনের রক্ত থেকে অতিরিক্ত শর্করা হ্রাস করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে আচমকা বেড়ে যেতে পারে রক্তের শর্করার মাত্রা।
৪। ওষুধপত্র: ডোপামাইন, নর-এপিনেফ্রিনযুক্ত ওষুধ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে ব্যবহৃত ওষুধ একাধিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। কর্টিকোস্টেরয়েড রয়েছে এমন ওষুধের ক্ষেত্রেও একই প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ফলস্বরূপ বাড়তে পারে রক্তের শর্করার পরিমাণ।
৫। স্থূলতা: স্থূলতা ইনস্যুলিনের কার্যকারিতা হ্রাস করে। পাশাপাশি, রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতেও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।