প্রতীকী ছবি।
সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমানে দশ জনের মধ্যে অন্তত তিন জন মহিলা পিসিওএস নামক রোগটিতে আক্রান্ত। এবং এঁদের মধ্যেও দেখা যায় যে আক্রান্তদের গড়পরতা দশ জনের মধ্যে অন্তত ছ’জনই রয়েছেন বয়ঃসন্ধির সীমানায়। স্ত্রীরোগ-চিকিৎসকরা বলছেন, ইদানীং মহিলাদের মধ্যে যে ব্যাধিটি সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ে, তা হল হরমোনের তারতম্যে ঘটা এই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম। দুরারোগ্য না হলেও এই অসুখ নিয়ে নানা ভুল ধারণা মানুষের মধ্যে অনেক দিন ধরেই প্রচলিত। তবে এই সব ধারণার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসকরাই।
হরমোনের ভারসাম্যে বিচ্যুতি, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ঋতুস্রাবে দুর্গন্ধ, শরীরে চুলের আধিক্য, ওজন বেড়ে যাওয়া, মুখে ব্রণ বেড়ে যাওয়া, শরীরে পুরুষ হরমোনের আধিক্য, প্রভৃতি লক্ষণ দেখা যায়। এটি জীবনযাত্রার ধরনের জন্য কিংবা শারীরবৃত্তীয় নানা জটিলতার ফলে ঘটে, এমনই মনে করেন চিকিৎসকরা। যা জানা গিয়েছে—
১। ১৮ বছরের উর্ধ্বে মহিলারা তাঁদের ঋতুবন্ধ হওয়া পর্যন্ত, .যে কোনও বয়সেই এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
২। অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয় এমন সব মহিলাই পিসিওএস-এ ভুগছেন বলে মনে করেন অনেকেই। কিন্তু অনিয়মিত ঋতুস্রাব থাইরয়েডের সমস্যা বা খাদ্যাভ্যাসের ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকেও হওয়া সম্ভব।
৩। ওজন বেশি থাকলেই পিসিওএস-এর সম্ভাবনা বাড়ে এই ধারণাও ভুল। ওজন যা-ই হোক, যে কেউ এই রোগ আক্রান্ত হতে পারেন বলেই মনে করেন স্বাস্থ্যবিদেরা।
৪। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম ছাড়াও ত্বকের একাধিক সমস্যার জন্য মুখে ব্রণ হতে পারে। পিসিওএস থাকলেই যে ব্রণ হয় এই এই ধারণাও পুরোপুরি ভুল।
৫। কোনও ওষুধই পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম আগাগোড়া নির্মূল করতে পারে না। এর জন্য দরকার সুষম খাদ্য, নিয়মিত ব্যায়াম এবং জীবনযাপনের সংহতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy