বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন এক জনের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। ছবি: শাটারস্টক।
ঘরের কাজ, অফিসের কাজ ঠিক সময় মতো করতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়াই হচ্ছে না। রাতে ঘুমও হচ্ছে না। ফলে পরের দিন সকালে এক রাশ ক্লান্তি। কাজে ভুল হওয়া। কর্মব্যস্ত জীবনে মানসিক চাপে ভোগেন কমবেশি সকলেই। এই সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খুঁজছেন সবাই।
বন্ধু হোক বা প্রিয়জন, পরস্পরের প্রতি স্নেহ ও ভালবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হল আলিঙ্গন। হালের সমীক্ষা বলছে, এই আলিঙ্গন শুধুমাত্র আবেগ প্রকাশের মাধ্যমই নয়। এর মাধ্যমে মস্তিষ্ক থেকে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়, যা শারীরিক ও মানসিক বিকাশে নানা ভাবে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, মানসিক চাপ কমাতেও নাকি আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার!
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন এক জনের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। আলিঙ্গনবদ্ধ অবস্থায় অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে মস্তিষ্ক শান্ত থাকে। সমীক্ষা বলছে ১০ সেকেন্ড বা তার বেশি সময় ধরে আলিঙ্গন করলে মনের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। বিশেষ করে খুব কাছের কোনও বন্ধু বা প্রিয়জন কেউ জড়িয়ে ধরলে মানসিক প্রশান্তি আসে।
এ ছাড়াও আলিঙ্গন আরও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে—
১) আলিঙ্গন দ্রুত মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অফিসের চাপ, সংসারের চাপে সকলেই এখন কমবেশি জর্জরিত।
২) হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও আলিঙ্গনের জুড়ি মেলা ভার। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আলিঙ্গন করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, হৃদ্স্পন্দনের হারও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে এই অভ্যাস।
৪) শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।
৫) অনেক সময়ে অজানা কারণেই উদ্বেগ বাড়ে। ভয় কমাতেও সাহায্য করে এই অভ্যাস। মনমেজাজ ভাল রাখতে দারুণ উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy