সিকিম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নায়রোবি মাছির আতঙ্ক।
অতিমারির প্রকোপ কাটলেও, ফের নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। তারই মাঝে পাহাড়ে অতিবৃষ্টি, ঝঞ্ঝা, ধস তো লেগেই রয়েছে। সেই আবহেই এ বার সিকিম জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নায়রোবি মাছির আতঙ্ক। সিকিম মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ক্যাম্পাসের প্রায় ১০০ জন পড়ুয়ার ত্বকে এই মাছির কারণে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে সিকিমের আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা এই পতঙ্গের বেড়ে ওঠার পক্ষে অনুকুল বলে মত পতঙ্গবিদদের।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সংক্রমিত ছাত্র-ছাত্রীদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে। তবে এক জন ছাত্রীর পরিস্থিতি বেশ খারাপ ছিল, তাঁর হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়।
উত্তবঙ্গ মেডিকেল কলেজের তিন পড়ুয়াও এই মাছির হানায় সংক্রমিত হয়েছেন।
নায়রোবি মাছির উৎপত্তি কোথায়?
মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নায়রোবি মাছির। এটিকে কেনিয়ান ফ্লাই বা ড্রাগন পোকাও বলা হয়। খানিকটা গুবরে পোকার মতো দেখতে এই পতঙ্গের দুই প্রজাতি রয়েছে। একটি প্রজাতির রং হয় কমলা, অন্যটির কালো। বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে এরা দ্রুত বংশবিস্তার করে। এই নায়রোবি মাছি কামড়ায় না, হুলও ফোটায় না। তবে গায়ের উপর বসলে ত্বকে জ্বালা ধরায়। ত্বকের উপর নায়রোবি পতঙ্গ বসলে ফ্যাকাসে দাগও হয়ে যায়। তবে এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় ত্বক।
মানুষ কী ভাবে এই সব পোকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
এই পোকাগুলি কীটপতঙ্গ খায়। বিশেষ করে যে সব কীটপতঙ্গ ফসলের ক্ষতি করে, সেগুলিই খায়। এই প্রকার মাছি ত্বকে বসার সময় কড়া ধাঁচের অম্ল নিঃসরণ করে যা ত্বককে পুড়িয়ে দেয়। এই অম্ল ধাঁচের পদার্থটিকে পেডারিন বলা হয়। এটি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রবল জ্বালা হয়। তার ফলে ত্বক পুড়ে গিয়ে ক্ষত তৈরি হয়। ত্বকের এই সমস্যা এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিরাময় হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy