তেজপাতা পুড়িয়েও পাওয়া যায় বেশ কিছু উপকার। ছবি সংগৃহীত
পায়েস, পোলাও, বিরিয়ানি থেকে শুক্তো কিংবা ডাল, ফোড়নে একটি তেজপাতা দিলেই রান্নার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে শুধু রান্না নয়, স্বাস্থ্য ভাল রাখার ক্ষেত্রেও এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। হজমের সমস্যা দূর করতে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে, হার্টের সমস্যা রুখতেও তেজপাতা ভীষণ উপকারী।
এ ছাড়া, তেজপাতা পুড়িয়েও পাওয়া যায় বেশ কিছু উপকার। ছাইদানিতে বেশ কয়েকটি তেজপাতা রেখে দশ মিনিট ধরে পোড়াতে হবে। তেজপাতার মধ্যে থাকা তৈল-জাতীয় উপদানগুলি পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সারা ঘরে সুগন্ধ ছড়ায়। এই পোড়া গন্ধ মন সতেজ রাখতে সাহায্য করে। অবসাদ, উদ্বেগ বা কোনও মানসিক চাপ থাকলেও এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করলে মিলবে সুফল।
এর বাইরে একাধিক গুণ রয়েছে তেজপাতার। রইল সে সবের হদিশ।
১) তেজপাতা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই টাইপ ২ ডায়াবিটিসের জন্য এটি খুবই কার্যকর।
২) শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বার করে দিতেও তেজপাতার যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৩) ত্বকে নানা ধরনের ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হয়। একটি করে তেজপাতা চার কাপ জলে ফুটিয়ে নিয়ে খেতে পারেন। দিনে চার-পাঁচ বার এই জল খেলে সুফল পাবেন।
৪) ফোঁড়ার সমস্যা হলে তেজপাতা বেটে তার উপরে প্রলেপ দিন। ব্যথাও কমবে এবং তাড়াতাড়ি শুকিয়েও যাবে।
৫) কাশি হলে বা জোরে কথা বললে অনেকের গলা ভেঙে যায়। তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল খেলে সে ক্ষেত্রে আরাম পাবেন।
৬) প্রস্রাবের রং হলুদ? গরম জলে তেজপাতা দু’ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তার পরে ছেঁকে নিয়ে দু-তিন ঘণ্টা অন্তর জলটি পান করুন। সমস্যা কমবে।
৭) ব্রণর সমস্যায় চন্দন আর তেজপাতা একসঙ্গে বেটে মুখে লাগাতে পারেন। দাগ, ছোপ থেকে রেহাই পাবেন। ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সতেজ। এ ছাড়া, গায়ের দুর্গন্ধ কমাতেও তেজপাতা ব্যবহার করা যেতে পারে।
৮) তেজপাতার নির্যাস ব্যবহার করলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হতে পারে। খুসকি আর চুলের রুক্ষতা কমাতেও জবাব নেই এই পাতার।
৯) তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে। এটি ক্ষত সারাতে দারুণ ভাবে কাজ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy