গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সব্জি খান। ছবি: সংগৃহীত।
এসি কিংবা ফ্যানের হাওয়া বাইরে থেকে শরীর ঠান্ডা রাখে। সাময়িক স্বস্তি দেয়। কিন্তু যে হারে গরম বাড়ছে, তাতে শরীর ভিতর থেকেও যাতে ঠান্ডা থাকে, সে দিকেও নজর দিতে হবে। পেট ঠান্ডা রাখতে অনেকেই ডাবের জল, বেলের পানা কিংবা পুদিনার শরবত খাচ্ছেন। শরীরের ভিতরে একটা ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে বলে ঘন ঘন আইসক্রিমও খাচ্ছেন। তবে এই অসহনীয় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে চাইলে খেতে হবে সব্জি। বাজারে মরসুমি সব্জির অভাব নেই। বাজার থেকে থলি ভর্তি করে কিনেও আনছেন। কিন্তু কোনগুলি খেলে এই গরমে শরীর ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে, জানা আছে?
লেটুস
বাজারে গিয়ে লেটুস দেখতে পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কিনে নিন। গরমে লেটুস খাওয়া সত্যিই উপকারী। লেটুস পাতায় জলের ভাগ বেশি। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করে এই পাতা। এ ছাড়া, শরীরের তাপমাত্রা কমাতে লেটুসের জুড়ি মেলা ভার। পেটের সমস্যাও কমায় এই পাতা। লেটুসের গুণে গরমেও চাঙ্গা থাকা যায়।
শসা
ফল না কি সব্জি? শসাকে কোন গোত্রে ফেলা যায়, তা নিয়ে নানা আলোচনা চলতেই থাকে। তবে ফল হোক কিংবা সব্জি, এই গরমে শসা না খেলে পেটের সমস্যা অবধারিত। শসাতে জলের পরিমাণ বেশি। ফলে শরীর আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে এই ফল। শরীরে যে তাপ উৎপন্ন হয়, শসা তা শোষণ করে নিতে পারে। হজমের গোলমাল কমাতেও শসা উপকারী।
লাউ
ডাল দিয়ে খান কিংবা ঘণ্ট বানিয়ে— গরমে লাউ খেতে ভুললে চলবে না। লাউয়ে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে। এই সময়ে এমনিতেই শরীরে জলের পরিমাণ কমে যায়। লাউ কিন্তু সেই ঘাটতি পূরণ করবে। তা ছাড়া, পেটের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, লাউ তাঁদের জন্য বেশ উপকারী।
ঝিঙে
রুই মাছের ঝোল হোক কিংবা পোস্ত দিয়ে— বাঙালির ঝিঙের প্রতি একটা আলাদা প্রেম আছে। গরমেও পাতে থাক ঝিঙে। এই সব্জি রান্না করার সময়ে যে পরিমাণ জল বেরোয়, তাতেই বোঝা যায় এতে কতটা পরিমাণ জল আছে। গ্রীষ্মকালীন নানা শারীরিক সমস্যার ঝুঁকি কমায় ঝিঙে।
বিট
বিট শীতকালীন সব্জি। তবে সারা বছরই বাজারে চোখে পড়ে বিট। ‘হিট ওয়েভ’-কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সুস্থ থাকতে বিট খাওয়া জরুরি। বিট পেটের গোলমাল কমায়। শরীর ভিতর থেকে আর্দ্র করে তোলে। হজমের সমস্যাও কমে বিট খেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy