কোন ৫ অভ্যাসে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ছে? ছবি: শাটারস্টক।
সন্তান না হলে বরাবরই মহিলাদের দায়ী করা হয়। তবে এ ক্ষেত্রে কিন্তু পুরুষরাও সমান ভাবে দায়ী থাকতে পারেন। রোজের জীবনে নানা অনিয়মের জেরে পুরুষদেরও বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ছে। জীবনযাপনের কায়দাকানুনে বদল আনলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ওষুধ খেয়ে বা আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার শরণ নেওয়ার আগে জীবনযাপনে খানিকটা বদল আনলেই অনেকের ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়। তাই জেনে নিন যৌনজীবন সুখী করতে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনবেন আর কোন অভ্যাসে একেবারেই রাশ টানতে হবে।
ওজন: বন্ধ্যত্বের সমস্যা এড়াতে ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। ডায়েট মেনে চলা, হাঁটাহাঁটি, কিছু হালকা শারীরিক কসরতকে রাখতেই হবে রোজনামচায়। অতিরিক্ত ওজন শুক্রাণুর সংখ্যা কমিয়ে দিতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান: তামাক ফুসফুসের যেমন ক্ষতি করে, তেমনই পুরুষের যৌন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা কমায় ও শুক্রাণুর সংখ্যাও কমিয়ে দেয়। তাই সন্তানধারণের পরিকল্পনা থাকলে ধূমপান ছাড়ুন। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ার নেপথ্যে দায়ী হতে পারে অ্যালকোহলও। তাই মদ্যপানের আসক্তিও কমাতে হবে।
মানসিক অবসাদ: মানসিক অবসাদের কারণেও শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। অবসাদ যৌন জীবনকে অসুখী করে তোলে। হতাশা বা মানসিক চাপ আসে এমন বিষয় এড়িয়ে চলুন। মন চাঙ্গা রাখতে নিয়ম করে যোগাসন করুন, কাজের থেকে সময় বার করে বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। মন ভাল হয় যে কাজে, সেই কাজ করুন।
এক জায়গায় বসে কাজ: এখন বেশির ভাগ অফিসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়। হাঁটাতলা কম হওয়ার কারণেও বন্ধ্যত্বের সমস্যা দেখা দেয় অনেক সময়। কাজের ফাঁকে পেশি ও স্নায়ুকে সক্রিয় রাখতে মাঝেমাঝেই ডেস্ক ছেড়ে উঠে হাঁটুন।
সময়: ইদানীং ছেলে-মেয়ে উভয়েই দেরিতে বিয়ে করেন, ফলে পরিবার পরিকল্পনা করতেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। দু’জনের বয়স ৩৫ পেরলে বন্ধ্যত্বের ঝুঁকি বাড়ে। তাই সন্তানধারণের পরিকল্পনা করতে খুব বেশি দেরি না করাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy