প্রতীকি ছবি।
ভারত গ্রীষ্মপ্রধান দেশ। তাই শীতের শহরেও কোথাও যেন উষ্ণতা বিরাজ করে। বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে কপালে। বাইরের খোলা হাওয়ায় এই অস্বস্তি সামলানো গেলেও দরজা জানলা বন্ধ করা গাড়ির বদ্ধ পরিবেশে শরীর আরও খারাপ লাগে। গাড়িতে উঠলেই বাতানুকূল যন্ত্র চালানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না।
বাইরে থেকে এসে গাড়িতে উঠে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই যন্ত্র চালানোর অভ্যাস কি কোনও মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে?কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
গাড়িতে ওঠার আগে স্বাভাবিক ভাবেই গাড়ির কাচ বন্ধ থাকে। এই অবস্থায় গাড়িতে ৪০০-৮০০ মিলিগ্রাম বেঞ্জিন জমা হয়। আর যদি গাড়ি রোদে দাঁড় করানো থাকে এবং বাতাসের তাপমাত্রা যদি ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয়, তা হলে বেঞ্জিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ২-৪ হাজার মিলিগ্রাম। যা কিনা আমাদের শরীরের সহ্য ক্ষমতার চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ বেশি।
চারদিক থেকে আটকানো বদ্ধ গাড়িতে যাওয়ার সময়ে এই বেঞ্জিন শ্বাসের সঙ্গে মানবদেহে প্রবেশ করে। যা লিভার ও কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
খেয়াল করলে দেখা যাবে গাড়ির ম্যানুয়ালে একটি জায়গায় বাতানুকূল যন্ত্র চালানোর আগে গাড়ির কাচ কিছুক্ষণ নামিয়ে রাখার কথা লেখা থাকে।
এর কারণ কী?
বাতানুকূল এই যন্ত্রটি চালু করার পর ঠান্ডা হাওয়া ছাড়া শুরুর আগে গরম হাওয়া বার করে দেয়। সেই সঙ্গে জমে থাকা বেঞ্জিনও বার করে দেয়। যা শরীরে গেলে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।
সুরক্ষিত থাকতে কী করণীয়?
গাড়িতে উঠে সবের আগে জানলার কাচ কিছুক্ষণ নামিয়ে রাখুন। কাচ নামানো অবস্থাতেই কয়েক মিনিট বাতানুকূল যন্ত্রটি চালিয়ে তার পর কাচ বন্ধ করে দিয়ে গাড়ি চালু করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy