দাঁতের সমস্যায় ভরসা রাখবেন কোন দাওয়াইয়ে? ছবি: শাটারস্টক।
ত্বক থেকে চুল, হজমের সমস্যা থেকে সর্দি-কাশি— সারা বছরই কম-বেশি এই সব নানা অসুখে ভোগেন অনেকে। তবে এ সব অসুখ সামলাতে ওষুধের পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করতে হবে। আযুর্বেদ শাস্ত্র মতে এই সব রোগকে জব্দ করতে দাওয়াই হিসাবে নিম কিন্তু বেশ উপকারী।
নিমের যেমন জীবাণুনাশক ক্ষমতা আছে, তেমনই এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট শরীরের দূষিত পদার্থকে দূর করে তাকে সুস্থ-সবল রাখে। নিম পাতা বেটে লাগালে যেমন নানা অসুখ প্রতিহত হয়, তেমনই নিম পাতা খেলেও অনেক অসুখ দূরে থাকে। দেখে নিন নিম কী কী ভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজে আসতে পারে।
নিমের ডাল: নিম গাছের ডালেও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ থাকে। এখনও গ্রামের দিকে অনেকেই নিমের ডাল দাঁতন হিসাবে ব্যবহার করেন। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, দাঁতের ফাঁকে জীবাণু সংক্রমণ রোধ করতে, দাঁতের গোড়া মজবুত করতে ও দাঁত থেকে হওয়া রক্তপাত কমাতে নিম বেশ কার্যকরী। এ ছাড়া কৃমি হলে, জ্বর হলেও আযুর্বেদ শাস্ত্রে নিম ডালের ব্যবহার করা হয়।
নিমের গুঁড়ো: নিমপাতা শুকনো করে তার গুঁড়ো বানিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। নিমের গুঁড়ো দিয়ে পানীয় বানিয়ে কেলে পেটের সমস্যা দূর হয়। শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। নিমে থাকে ‘অ্যাজাডাইর্যাক্টিন’ ও ‘নিমবাইডিন’ নামক দু’টি উপাদান। উকুন নিধনে, খুসকির সমস্যায় ও মাথার ত্বকের চুলকানির সমস্যায় এই উপাদানগুলি খুবই কার্যকরী। তাই হেয়ার প্যাকেও এই গুঁড়ো ব্যবহার করা যেতে পারে।
নিমপাতা: অনেক সময়েই কেটে-ছড়ে গেলে ক্ষতস্থানে নিমপাতার রস লাগানো হয়। নিমের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণে তৈরি হওয়া হরেক রকমের ঘা থেকে নিস্তার পেতেও কাজে আসতে পারে নিম। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ বাটা মাখা যেতে পারে। তবে মিশ্রণে নিমপাতার চেয়ে হলুদের পরিমাণ যেন কম হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy