বেদনানাশক নয়, তেলের গুণেই কমবে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী। মাঝে মধ্যে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হলেও তেমন স্বস্তি এখনও মেলেনি। গরমের প্রকোপ যত বাড়বে, ততই গরমের সঙ্গে আসা উপসর্গগুলিও এসে জুড়বে। অতিরিক্ত গরম, প্রখর রোদের তাপ মাইগ্রেনের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। যাঁদের রোজ রোদে বেরোতে হচ্ছে, তাঁরা মাইগ্রেনের সমস্যায় বেশি ভুগছেন। সেই সঙ্গেই গরমের কারণে ঘুম না হওয়া, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া, ডিহাইড্রেশন আরও গুরুতর করে দেয় মাইগ্রেনের সমস্যাকে। তা ছাড়া শরীরে আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন ডি-র ঘাটতি হলেও মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যায়। রোদ থেকে ফিরে এক বার মাথার যন্ত্রণা শুরু হলে সহজে তো সারেই না, বরং চোখে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গা-বমি ভাব পরিস্থিতিকে আরও অসহনীয় করে তোলে।
সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথায় বেদনানাশক ওষুধ খান অনেকেই। তবে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যথার ওষুধ খেলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু ঘরোয়া টোটকাও রয়েছে। এমন কিছু এসেনশিয়াল অয়েল রয়েছে, যেগুলি ব্যবহার করলে মাইগ্রেনের ব্যথায় আরাম মিলতে পারে। দেখে নিন, কোন কোন তেল রয়েছে সেই তালিকায়।
১) ল্যাভেন্ডার অয়েল
মানসিক চাপ, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করতে ল্যাভেন্ডার অয়েল বেশ কার্যকরী। মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরম জলে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল দিন। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে সেই গন্ধ নিলে মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
২) রোজ়মেরি অয়েল
রক্ত চলাচল স্বাভাবিক না হলে অনেক সময়ে মাথাব্যথা করে। তাই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখা বিশেষ ভাবে প্রয়োজন। সেই ক্ষমতা রয়েছে রোজ়মেরি অয়েলের। সরাসরি রোজ়মেরি অয়েলের ঘ্রাণ নিতে পারেন। আবার, জলের মধ্যে দিয়ে গরম ভাপও নেওয়া যায়।
৩) ক্যামোমাইল অয়েল
উত্তেজনা কমাতে, অনিদ্রাজনিত সমস্যায় দারুণ ভাবে কাজ করে ক্যামোমাইল অয়েল। এর প্রদাহনাশক ক্ষমতা মাথার যন্ত্রণা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করে। মাথার বালিশে কয়েক ফোঁটা ক্যামোমাইল এসেনশিয়াল অয়েল ছড়িয়ে ঘুমোতে যেতে পারেন। মাথাব্যথা বশে রাখতে এবং দু’চোখে ঘুম আনতে সাহায্য করে এই অয়েল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy