একা হাতে সব সামাল দিতে পারেন কি মায়েরা? ছবি- সংগৃহীত
মা হওয়া তো মুখের কথা নয়। আনন্দের সঙ্গে থাকে সন্তানকে বড় করার এক আকাশ দায়িত্বও। পাশাপাশি, পরিবার এবং কর্মক্ষেত্র কোনওটিকেই বাদ দেওয়া যায় না। কিন্তু এর মাঝে নিজের জন্য সময় বার করে না নিতে পারলে মুশকিল। যাঁর কাঁধে গোটা বিশ্বের ভার, তাঁর যদি শারীরিক বা মানসিক কোনও সমস্যা হয়, তার দায়িত্ব কে নেবে? মনোবিদদের মতে, এখন সব মায়েই কমবেশি কাজ করেন। কিন্তু সব কিছু একসঙ্গে সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে ওঠেন অনেক সময়ে। সব কিছুর মধ্যে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই মায়েদের পথ অনেকটা মসৃণ হয়।
কোন পাঁচ উপায়ে ঘরে-বাইরে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন কর্মব্যস্ত মায়েরা?
১) নিজের কাছে অতিরিক্ত প্রত্যাশা নয়
দশ হাতে দশ দিক সামলাবেন, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও মানে নেই। এতে কিন্তু নিজের চাপ বাড়ে। কাজ থেকে ফেরার পর বাড়িতে অতিথি আসবে বলে পঞ্জব্যঞ্জন রান্না করে হয়তো সকলকে আপনি তাক লাগিয়ে দিতেই পারেন। কিন্তু তার পরের শারীরিক কষ্টে আপনাকেই ভুগতে হবে। তার পর রয়েছে বাচ্চার দায়িত্ব। সুতরাং নিজেকে দশভূজা না বানালেই ভাল।
২) নিজের যত্ন ভুলবেন না
পরিবারের সকলের খেয়াল রাখা যেমন আপনার দায়িত্ব, তার মাঝে নিজের যত্ন নেওয়ার কথা কিন্তু কেউ আপনাকে মনে করিয়ে দেবে না। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা, ত্বকের যত্ন, পর্যাপ্ত ঘুম— এই সবগুলির প্রয়োজন রয়েছে। মায়ের দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি, সারা দিনের মধ্যে ঘণ্টা দুয়েক নিজের জন্য সময় বার করে নিতেই হবে।
৩) নিজের বিকল্প তৈরি করুন
বাড়িতে হোক বা কাজের জায়গায়, আপনাকে ছাড়া কাজ চলবে না এমন পরিস্থিতি আসতে দেবেন না। কর্মক্ষেত্রে কারও সাহায্য চাইতে কুণ্ঠাবোধ করবেন না। ছোট পরিবারে বাচ্চাকে বড় করে তোলার জন্য তেমন কেউ না-ও থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে শিশুর বাবাকেও ঘরের কিছু কাজে পারদর্শী হতে হবে।
৪) প্রয়োজনে ‘না’ বলতে হবে
মা হওয়া মানেই সব পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত থাকতে হবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কর্মক্ষেত্রে এবং বাড়িতে, দুই জায়গাতেই ভারসাম্য রেখে চলতে গেলে কিছু বিষয়ে ‘না’ বলতে পারা জরুরি।
৫) নিজের শখ পূরণ করুন
পরিবারের সব দায়িত্ব পালন করার পর, নিজের শখ পূরণ করাটাও জরুরি। অনেক মহিলাই সময়ের অভাবে নাচ, গান, আঁকা, আবৃত্তি, গল্পের বই পড়ার মতো ছোট ছোট শখগুলি বিসর্জন দেন অনায়াসে। কিন্তু মা হিসাবে সব দিক সামাল দিতে গেলে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকাও জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy