উৎসবের আনন্দ যেন অসুস্থতার কারণ না হয়, উল্লাসের মাঝেই শরীরের যত্ন নেবেন কী ভাবে?

উৎসব মানেই অনিয়ম। হইহুল্লোড়, বাইরের খাবার খাওয়া, রাতজাগা, সময় মতো না খাওয়া— উদ্‌যাপনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এগুলি। গোটা শীতকাল জুড়ে উৎসবের মেলা। বড়দিন, নতুন বছর উপলক্ষে চলবে দেদার মজা আর পার্টি। এতে মন খুশিতে ভরে উঠলেও, শরীরের উপর দিয়ে ধকল যায়। তাই হুল্লোড় আর হইচয়ের আবহে শরীরের উপর নজর রাখা জরুরি। উৎসবের মরসুমে জমিয়ে আনন্দ করতে নিজেকে চাঙ্গা রাখতেই হবে। তা ছাড়া কয়েক দিনের অনিয়মে ওজন বেড়ে যাওয়ারও একটা আশঙ্কা থাকে। তাই শত অনিয়মের মাঝেও কয়েকটি নিয়ম না মানলেই নয়।

১) উৎসবমুখর এই সময়ে সকাল শুরু করুন এক গ্লাস জল খেয়ে। শরীরের সঙ্গে যত অনিয়ম-ই করুন, জল খেতে ভুলবেন না। শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা থেকে হজমের গোলমাল হতে না দেওয়া— সবেতেই জলের ভূমিকা অপরিহার্য। পার্টিতে গিয়ে ভরপেট খাওয়া হয়ে গেলে প্রয়োজনে একটু গরম জল খেয়ে নিতে পারেন। পেট ফাঁপবে না।

২) রাতে বড়সড় পার্টি রয়েছে। ভূরিভোজ হবে। এমন হলে সকালে এবং দুপুরের পাতে খাবারের পরিমাণ কম করে রাখুন। খুব ভারী কোনও খাবার খাবেন না। খুব ভাল হয়, যদি সব রকম সব্জি দিয়ে একট খিচুড়ি বানিয়ে ফেলতে পারেন।

৩) শুধু উৎসবের মরসুম বলে নয়, বারোমাস শাকসব্জি খাওয়া জরুরি। তবে সব কিছুর মতো, শাকসব্জি খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে। বিশেষ করে এই উৎসব-উদ্‌যাপনের সময় সুস্থ থাকতে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। এই সময় শাকসব্জি দিয়ে তৈরি করা খাবার বেশি করে খান। তবে সব্জি দিয়ে কিছু রান্নার সময় তেলের ব্যবহার যেন একেবারেই কম থাকে।

৪) উৎসবের মরসুমে শরীরচর্চার কথা ভুলে গেলে চলবে না। উৎসব, উদ্‌যাপন, হইচই থাকবেই, কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়াম করা জরুরি। শরীরচর্চার অভ্যাসে হজমের গোলমাল দূরে থাকবে। দেদার বাইরের খাবার খাওয়ার পরেও ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে শারীরিক কসরত করা দরকার।

৫) এই সময় গ্লুটেন-মুক্ত খাবার বেশি করে খান। বাইরের তেল-মশলাদার খাবারে এমনিতেই কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে বাড়িতে এমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন, যেগুলি থেকে ওজন বেড়ে যাওয়ার