পাস্তাও স্বাস্থ্যকর হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
নিজের অথবা বাচ্চার স্কুলের টিফিন— সকালে উঠে চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে ফেলার কথা ভাবলে প্রথমেই মাথায় আসে পাস্তার কথা। অল্প সময়েই পাস্তা বানিয়ে নেওয়া যায়। খেতেও মন্দ লাগে না। টিফিনে পাস্তা দিলে বাচ্চারা চেটেপুটে খায় তো বটেই, প্রচণ্ড ব্যস্ততার মাঝে টিফিনবাক্স খুলে যদি পাস্তার দেখা পাওয়া যায়, তা হলে বড়দের মুখেও চওড়া হাসি। তা ছাড়া পাস্তা রান্নার ঝক্কিও নেই একেবারেই। দৈনন্দিন জীবন পাস্তা খানিকটা সহজ করে দিলেও ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থেকেই যায়। পাস্তা তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ময়দার তৈরি পাস্তা এড়িয়ে চলেন অনেকেই। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে পাস্তার স্বাদ থেকে নিজেকে বঞ্চিত রাখবেন, তা তো হতে পারে না! বরং পাস্তা যদি কয়েকটি কৌশলে বানাতে পারেন, তা হলে প্রতিদিন খেয়েও ওজন বশে রাখতে পারেন।
১) গাজর, বিন্স, ক্যাপসিকাম, বেল পেপার— এই ধরনের সব্জি দিয়ে পাস্তা বানাতে পারেন। পাস্তা ময়দার হলেও সব্জি দিয়ে বানালে এর সমস্ত দোষগুণ কেটে যাবে। আবার খেতেও ভাল লাগবে। পাস্তায় থাকা কার্বোহাইড্রেটের প্রভাব সরাসরি শরীরের উপর পড়বে না। সেই সঙ্গে শরীরে ফাইবারের পরিমাণও বেড়ে যাবে।
২) পাস্তা সুস্বাদু করে তুলতে অনেকেই নানা ধরনের সস্ ব্যবহার করে থাকেন। টোম্যাটো কিংবা সয়া সস্ ছাড়াও কেউ কেউ পিঙ্ক সস্ও দেন পাস্তায়। এই সসে অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। ফলে গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ওজন বেড়ে যাওয়ার নেপথ্যে গ্যাস-অম্বলও রয়েছে। অনেকেই পাস্তায় চিজ়, মেয়োনিজ়ও দেন। দুগ্ধজাত এই ধরনের খাবারের সঙ্গে পিঙ্ক সস্ মেশালে পেটের গোলমাল হতে পারে। তাই পিঙ্ক সস্ এড়িয়ে চলুন।
৩) বেশি তেল দিয়ে কখনও পাস্তা রাঁধবেন না। যদি তেল দিতেই হয়, অলিভ অয়েল দিন। অলিভ অয়েল যদি কয়েক ফোঁটা বেশি পড়ে গিয়েও থাকে, তা হলেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অলিভ অয়েল ছাড়া অন্য কোনও তেল দিয়ে পাস্তা তৈরি না করাই ভাল। এতে স্বাদ খুব মুখরোচক না হলেও শরীর যত্নে থাকবে। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy