পায়ে থাকা ঘামের সঙ্গে মোজার ব্যাক্টেরিয়া মিশিয়ে গিয়েই তৈরি হয় বিকট গন্ধ। ছবি: শাটারস্টক।
বছরের আর পাঁচটা সময়ে নিয়মিত মোজা না পরলেও শীতের দিনগুলিতে মোজা চাই-ই-চাই। শীতকালে পা ফাটার সমস্যাও বাড়ে। তাই মোজা পরে রাখতেই পছন্দ করেন বেশির ভাগ মানুষ। আর যাঁদের নিয়মিত মোজা পরার অভ্যাস, তাঁরা তো মোজা ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতেই পারেন না। অনেকের পায়ে মোজা পরার জন্য প্রবল দুর্গন্ধ তৈরি হয়। অফিস-কাছারিতে, আড্ডায় কিংবা অনুষ্ঠানে মোজা থেকে তৈরি হওয়া দুর্গন্ধের ফলে লজ্জায় পড়তে হয়, এমন ঘটনাও ঘটে আকছার।
চিকিৎসকদের ভাষায় একে ব্রোমোডোসিস বলে। পায়ে থাকা ঘামের সঙ্গে মোজার ব্যাক্টেরিয়া মিশিয়ে গিয়েই তৈরি হয় বিকট গন্ধ। তবে এর থেকে মুক্তির উপায় রয়েছে হাতের কাছেই।
১) ঘাম কম হোক বা বেশি, চামড়ার যত্ন ও ঘামের গন্ধ থেকে বাঁচতে সুতির মোজা ব্যবহার করুন। সিন্থেটিক মোজা পরলে ঘাম বেশি হয়।
২) খাদ্যতালিকাতেও পরিবর্তন আনুন, খুব মশলাদার খাবার বিপাকক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। বদহজম বা অম্লতা ঘন ঘন হলে তা ঘামের গন্ধ আরও বিশ্রী হয়।
৩) চা-কফির নেশা থাকলে এড়িয়ে চলুন। যে কোনও উত্তেজক পানীয় শরীরে হরমোন নির্গমনে সাহায্য করে। তাতে স্নায়ু উত্তেজিত হয় পরোক্ষে। ফলে সহজেই ঘাম হয়।
৪) জুতোকে মাঝেমাঝেই রোদে দিন। জুতোর ভিতরে আলো-হাওয়া পৌঁছলে ছত্রাক, ক্ষতিকারক ব্যাক্টেরিয়ার প্রকোপ কমে। একই মোজা পর পর দু’দিন ব্যবহার করার অভ্যাস ত্যাগ করুন। অনেকেরই এই প্রবণতা থাকে। তা অত্যন্ত বদভ্যাস।
৫) মোজা পরলেই পা ঘেমে যাওয়ার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল যাঁরা, তাঁরা বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে ঈষদুষ্ণ নুন-জলে পা ডুবিয়ে রাখুন মিনিট পনেরো। নুন ছত্রাক রোধ করতে সক্ষম। ফলে পা ঘামার সমস্যাকে কমিয়ে দেয় অনেকটাই। একটু সময়সাপেক্ষ হলেও পা ঘামার সমস্যা দূর করতে নুন-জলের জুড়ি নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy