অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সকালের দিকে বমি বমি ভাব একটি স্বাভাবিক সমস্যা। ছবি: সংগৃহীত
বছর ৩২-এর কাবেরী। একটি বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরতা। বিবাহিতা। বিয়ের বয়স বছর দুয়েক। কাবেরী সদ্য জানতে পেরেছেন তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ দিকে অফিসেও তাঁর উপর কাজের দায়িত্ব অনেক। নিজের সিদ্ধান্ত ও চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সুরক্ষা-বিধি মেনে অফিস যাচ্ছেন। কাবেরীর মতো অনেক মেয়েরা এমন শারীরিক অবস্থাতেও নিয়মিত অফিসে যান। অনেকে তো আবার ঘর এবং বাইরে দুই-ই সামলান। চিকিৎসকরা অবশ্য এই সময়ে বসে থাকার চেয়ে কাজের মধ্যে থাকারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবু অন্তঃসত্ত্বাকালীন কিছু শারীরিক অসুস্থতা থেকে যায়। বাড়িতে থাকলে সেগুলি সামলানো যতটা সহজ হয়, অফিসে গেলে ততটা হয় না। তবু সুস্থ থাকতে এবং হবু সন্তানকে সুস্থ রাখতে এই পরিস্থিতি নিয়মিত বাইরে যাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
সকালের বমি বমি ভাব কমাতে
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সকালের দিকে বমি বমি ভাব একটি স্বাভাবিক সমস্যা। একে ‘মর্নিং সিকনেস’ বলা হয়ে থাকে। অনেকেই সকাল সকাল কাজে বেরোন। অফিসে গিয়ে বমি বমি ভাব কাটানোর সবচেয়ে ভাল উপায় হল খালি পেটে না থাকা। সকালে ভারী প্রাতরাশ সেরে তারপরে অফিসে আসুন। বাসি খাবার গরম করে নয়, টাটকা তৈরি করা খাবার খান। বমি ভাব এড়াতে মুখে আদার টুকরো রাখতে পারেন।
ক্লান্তি কাটাতে
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এমনিতেই সারা ক্ষণ ক্লান্তি ঘিরে থাকে। পরিশ্রম করলে সে ক্লান্তি বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যায়। কাজের চাপে খাওয়ার কথাও ভুলে যান অনেকে। তবে ক্লান্তি দূর করতে জোর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ায়। এই সময়ে বেশি করে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
কাজের ফাঁকে ঘন ঘন বিরতি নিন
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এক জায়গায় বেশিক্ষণ বসে না থাকাই ভাল। তাই কাজের ফাঁকে মাঝে মাঝে অল্প বিরতি নিন। অল্প হাঁটাচলা করুন। চোখ-মুখে ভাল করে জল ছিটিয়ে নিন। ফের কাজে বসুন। সঙ্গে জলের বোতল রাখুন। এই গরীমে শরীর আর্দ্র রাখাটা জরুরি। মাঝেমাঝেই কয়েক ঢোক জল খেয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy