ফাস্টিং করুন, কিন্তু ভুল যেন না হয়। ছবি: সংগৃহীত।
রোগা হওয়ার মন্ত্র অনেক। তবে কার জন্য কোনটি প্রযোজ্য তা অনেকটাই নির্ভর করে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর। এই প্রজন্মের স্বাস্থ্য সচেতনেরা অনেকেই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং বা টাইম রেস্ট্রিকটিভ ইটিং পদ্ধতির উপর ভরসা করেন। কারণ, এই ডায়েটে খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ কড়াকড়ি থাকে না। শুধু ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা একটানা উপোস করে কাটাতে হয়। বাকি সময়টুকু হল ‘ইটিং উইন্ডো’। যেহেতু খাবারের উপর বিশেষ কড়াকড়ি থাকে না, নিজের সময়-সুবিধে মতো এই ডায়েট করা যায়, তাই এই পদ্ধতির জনপ্রিয়তা বেশি। তবে, ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করার কিছু প্রতিকূলতাও রয়েছে। সম্প্রতি প্রাথমিক পর্যায়ের একটি গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে, যাঁরা এই ধরনের ডায়েট মেনে চলেন, তাঁদের মধ্যে হৃদ্যন্ত্র এবং শিরা-ধমনীর অর্থাৎ কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সব কিছুরই তো ভাল-মন্দ রয়েছে। সেই সমস্ত বিষয় জেনে নিয়ে তবেই এগোনো উচিত। তা ছাড়া সব ধরনের ডায়েট সকলের উপযুক্ত নয়। তাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ধরনের ডায়েটই করা উচিত নয়।
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করলে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
১) কত ক্ষণ উপোস করছেন:
প্রত্যেক দিন উপোস করার সময়সীমা যেন নির্দিষ্ট থাকে। এক দিন একটু কম সময় হল বলে অন্য দিন ১৮ ঘণ্টা উপোস করে ফেললে কিন্তু হবে না। খাবার খাওয়ার সময়সীমা যেমন নির্দিষ্ট, তেমন উপোস করার সময়ও যেন ঠিক থাকে।
২) খাবার খাওয়ার উইন্ডো:
খাবারে তেমন কোনও বিধিনিষেধ না থাকলেও ইটিং উইন্ডো যখন খোলা রয়েছে, তখন কী ধরনের খাবার খাচ্ছেন তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম ক্যালোরি-যুক্ত খাবার খাওয়াই ভাল। যে সমস্ত খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি, তা-ও ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
৩) পর্যাপ্ত জল খাচ্ছেন তো?
যে ধরনের ডায়েটই করুন না কেন, বিপাকহার ভাল রাখতে হলে পর্যাপ্ত জল খাওয়া প্রয়োজন। শরীর হাইড্রেটেড থাকলে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং সংক্রান্ত অনেক বিপদই এড়ানো সম্ভব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy