Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Oil You Should Avoid

কোন কোন বীজের তেল খাবেন না? বদলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে খাওয়া যেতে পারে কী তেল?

কেউ রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেন। কেউ বেছে নেন সয়াবিনের তেল, সূর্যমুখীর তেল বা ভুট্টার তেল। আবার অনেকটা সরষের মতোই দেখতে ক্যানোলা বা রেপসিডের তেলও ব্যবহার করা হয়।

ছবি : সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৪ ১৭:৩১
Share: Save:

রান্নায় তেল দেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদেরাই বলছেন রোজ কিছুটা তেল শরীরের জন্য দরকারিও। কিন্তু তেল কোলেস্টেরলও কারণ। তাই তেল ব্যবহার করতে হবে মেপেজুপে, বুঝেশুনে। ভাল এবং মন্দের বিচার করেও। সাধারণ রান্নাঘরে সরষের তেল ছাড়া যে সাদা তেল ব্যবহার করা হয়, তার নানা রকমফের আছে। কেউ রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেন। কেউ বেছে নেন সয়াবিনের তেল, সূর্যমুখীর তেল বা ভুট্টার তেল। আবার অনেকটা সরষের মতোই দেখতে ক্যানোলা বা রেপসিডের তেলও ব্যবহার করা হয়। পুষ্টিবিদ এবং স্বাস্থ্য প্রশিক্ষক ডিম্পল জাংড়ার বক্তব্য, ‘‘কিছু কিছু বীজের তেল না খাওয়াই মঙ্গল।’’ বিশেষ করে সয়াবিন, ভুট্টা এবং ক্যানোলার তেল না খেতে বলছেন তিনি।

কেন বীজের তেল খাওয়া অস্বাস্থ্যকর?

১। ডিম্পল বলছেন, যেকোনও বীজের তেলই অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত হয়। তাতে তেলের যে সাধারণ পুষ্টি গুণ তা অনেকটাই কমে যায়। বদলে তৈরি হতে থাকে ক্ষতিকর উপাদান।

২। বীজ থেকে যে তেল তৈরি করা হয়, তাতে সাধারণত ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে বেশি। অতিরিক্ত ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রদাহের কারণ হতে পারে। আর যে তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড বেশি থাকে, তাতে সাধারণ নিয়মেই উপকারী ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ থাকে কম।

৩। যেকোনও বীজের তেল এক বার ব্যবহার করার পরে দ্বিতীয়বার ব্যবহার করলে, তা থেকে ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়। ওই ধরনের তেল বার বার গরম করা হলে তাতে তৈরি হয় ক্ষতিকর উপাদান। যেমন ট্রান্সফ্যাট, আলডেহাইডস। যা শরীরে গেলে কোলেস্টেরলের সমস্যার পাশাপাশি হার্টের নানা সমস্যার কারণ হতে পারে।

বদলে কোন স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া যেতে পারে?

১। অ্যাভোকাডোর তেল: অ্যাভোকাডোর তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা হার্টের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী। উচ্চ তাপমাত্রায় রান্না করার জন্যও ওই তেল আদর্শ।

২। নারকেল তেল: নারকেল তেলে রয়ছে মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস, যা সহজপাচ্য এবং মেটাবলিজ়ম বৃদ্ধিতেও সহায়ক। অ্যাভোকাডোর তেলের মতো না হলেও নারকেল তেলেও বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলে ক্ষতির উপাদান তৈরি হয় না।

৩। ঘি: স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে ঘিয়ে। ঘিও বেশি তাপমাত্রায় রান্না করার জন্য আদর্শ। এ ছাড়া ঘিয়ে রয়েছে শর্ট চেন ফ্যাটি অ্যাসিড যা অন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর।

অন্য বিষয়গুলি:

Cooking Oil
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy