ক্ষতিকারক দূষিত পদার্থ বার করে দেখাকেই বলা হয় ‘ডিটক্সিফিকেশন’। —ফাইল চিত্র
এখন প্রায়শই লোকমুখে একটি কথা ‘ডিটক্স’ বলে একটি কথা শোনা যায়। বিভিন্ন প্রসাধনী সংস্থাও দাবি করে, তাঁদের প্রসাধনে ‘ডিটক্স’ হয় শরীর। কিন্তু এই ‘ডিটক্স’ বিষয়টি কী?
সহজ করে বলতে গেলে দেহের থেকে ক্ষতিকারক দূষিত পদার্থ বার করে দেখাকেই বলা হয় ‘ডিটক্সিফিকেশন’। আর তাকেই সংক্ষেপে বলে ‘ডিটক্স’। শরীর ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে এটি খুবই জরুরি।
অনেকেই এই কাজে বাজারজাত নানা উপাদান ব্যবহার করেন। তবে বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, তিনটি প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি পানীয়ও দূষিত পদার্থকে বার করে শরীরকে করে তুলতে পারে সতেজ ও প্রাণবন্ত।
বিট: রক্তাল্পতা ও রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করতে কাজে আসতে পারে বিট। এ ছাড়াও থাইরয়েড ও হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা থেকে বাঁচতেও বিট দারুণ কাজ করে। বিটে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। ফলে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। কোলেস্টরলকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই সব্জি। নিয়ম করে বিটের রস পান করতে হবে সকালে। ভাল করে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডারে ঘুরিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন বিটের স্মুদিও।
আপেল: ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে, প্রতি দিন একটি আপেল খেলে রোগ-ব্যাধি দূরে থাকে। প্রয়োজন পড়ে না চিকিৎসকের। আপেলে থাকা ফাইবার স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে উপকারী। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের উপস্থিতির কারণে কোষগুলি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সহজেই নির্গত হয়। বিটের মতো আপেল দিয়েও একই রকমের পানীয় তৈরি করে ফেলতে পারেন। তবে ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে একটি সামলে খেতে হবে আপেলের তৈরি পানীয়।
গাজর: শীতের বাজারে গিজগিজ করছে গাজর। গাজরে থাকে বিটা ক্যারোটিন। আমাদের শরীর এই ক্যারোটিনকে ভিটামিনে রূপান্তরিত করে। এই উপাদান চোখ ভাল রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকর। ভিটামিন এ শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। তাই সকালে এক কাপ গাজরের রস পান করতে পারেন সকাল সকাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy