কেউ কেউ সন্ধক লবণও মেশান স্নানের জলে। —ফাইল চিত্র
স্নানের সময়ে প্রসাধনী ব্যবহার করা নতুন কিছু নয়। কিন্তু শুধু সাবান-শ্যাম্পু নয়, বাড়ির রোজকার ব্যবহারের কয়েকটি ভেষজ জিনিস যদি নিয়ম করে স্নানের জলে মিশিয়ে নেন, তবে মিলতে পারে হরেক উপকার। অনেকেই স্নানের জলে নানা ধরনের এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। কেউ কেউ সন্ধক লবণও মেশান স্নানের জলে। এর কোনওটি ত্বকের মৃত কোষ ঝরাতে সাহায্য করে, কোনওটি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি। কিন্তু এর পাশাপাশি কয়েকটি ঘরোয়া জিনিসও স্নানের জলকে আরও উপকারী করে তুলতে পারে। রইল তেমন তিনটি উপাদানের সন্ধান।
অলিভ অয়েল: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে অলিভ অয়েল অত্যন্ত উপকারী। সরাসরি ত্বকে মাখলে যদি বেশি তেলতেলে লাগে, তবে জলের সঙ্গে কিছুটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে স্নানের পরেও শুষ্ক হয় না ত্বক। এই তেলে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভাল রাখে ত্বক। এক বালতি জলে ২ থেকে ৪ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশাতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন, এতে মেঝে পিচ্ছিল হয়ে যায়। তাই সাবধান থাকতে হবে যেন পা না পিছলে যায়।
আদা: শীতকালে সর্দি-কাশির সমস্যা কমাতে অনেকেই আদা দেওয়া চা খান। আদা কিন্তু স্নানের জলেও মেশানো যেতে পারে। আদা ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে প্রথমে। তার পরে এক চামচ আদাকুচি এক বালতি জলে মিশিয়ে নিন। যাঁরা বাথটবে স্নান করেন, তাঁরা ৩-৪ চামচ আদার কুচি মিশিয়ে নিন। অনেকের মতে পেশির ব্যথার নিরাময় হয় এতে। তা ছাড়া সর্দি-কাশির সমস্যাও কমবে এতে।
গ্রিন টি: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি এখন বহু বাঙালির প্রিয় পানীয়। স্নানের আগে এক বালতি জলে দু’-একটি চায়ের ব্যাগ ডুবিয়ে রাখুন। তার পর সেই চা ভেজানো জলে স্নান করে নিন। এতে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না। ত্বক মোলায়ম এবং উজ্জ্বলও হতে পারে। তবে গরম জলে কোনও মতেই এই টি ব্যাগ দেবেন না। তাতে ত্বক শুকিয়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy