ফোনের অ্যালার্ম ছাড়া ঘুম ভাঙে না? ছবি- সংগৃহীত
রাত জাগতে পারলেও অনেকের মধ্যেই সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে অনীহা দেখা যায়। অথচ অফিস যাওয়ার চিন্তা মাথা থেকে একেবারে সরিয়ে ফেলা যায় না। বাড়ির লোকজনের ডাকে প্রতিবেশীরা উঠে পড়লেও আপনার ঘুম যেন ভাঙতেই চায় না। প্রতি দিন ফোনে অ্যালার্ম সেট করে তবেই ঘুমোতে যান। অথচ সে অ্যালার্ম বেজে বেজে বন্ধ হয়ে যায়। শেষে বাধ্য হয়ে শরীরটাকে টেনে-হিঁচড়ে বিছানা ছাড়তে বাধ্য করতে হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমন অভ্যাস চলতে থাকলে তা শরীরের জন্য মোটেও ভাল নয়। শারীরবৃত্তীয় নানা কাজের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই সকালে অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে ঘুম ভেঙে যায়, তার জন্য কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।
১) একাধিক বার অ্যালার্ম সেট না করা
রাতে শোয়ার আগে ফোনে একটার পর একটা অ্যালার্ম ‘স্নুজ়’ করে রাখার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ফলে ঘুম ভাঙলেই একটার পর একটা অ্যালার্ম বন্ধ করতে হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, যদি কেউ জোর করে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করেন, সে ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়ে ‘সার্কাডিয়ান ক্লক’, অর্থাৎ শারীরবৃত্তীয় ঘড়িতে। ঘুমের একটি নির্দিষ্ট চক্র রয়েছে। এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো প্রয়োজন। রাত করে ঘুমিয়ে অনেকেই সকাল সকাল ওঠেন। ফলে ঘুমের চক্র অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এতে শরীরের কার্যক্ষমতা অনেক কমে যায়। তাই এক বারের বেশি অ্যালার্ম নয়।
২) হাতের কাছে ফোন না রাখা
ফোনে অ্যালার্ম সেট করে অনেকেই মাথার বালিশের নীচে রেখে দেন। সকালে অ্যালার্ম বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের চোখ চলে যায় ফোনের দিকে। অ্যালার্ম বন্ধ করে ঘুম চোখেই সমাজমাধ্যমে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার অভ্যাস যে ভাল নয়, তা-ও জানেন অনেকে। কিন্তু সেই অভ্যাস থেকে বিরত থাকতে পারেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঘুমের সময় ফোন হাতে কাছে ফোন না রাখাই ভাল। পারলে ফোন বন্ধ করে রাখুন।
৩) ঘড়ি ব্যবহার করা
অ্যালার্ম যদি দিতেই হয়, তার জন্য বাজারে নানা রকম ঘড়ি পাওয়া যায়। প্রয়োজন হলে তেমন একটি ঘড়ি কিনে ফেলুন। ফোনের অ্যালার্ম বন্ধ করতে গিয়ে বার বার অন্য কিছুতে মন গেলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটবে। সময়ও নষ্ট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy