সকালে ওঠার অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ছবি-সংগৃহীত
বছর ২৮-এর তনয়া বিশ্বাস। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্মী। খুব বেশি দিন চাকরি জীবন শুরু করেননি। তবে প্রায়ই অফিসে ঢুকতে তাঁর দেরি হয়ে যাচ্ছে। এর আসল কারণ অবশ্য ধরতে পেরেছেন তনয়া। ঘুম থেকে দেরি করে ওঠার কারণে সময়মতো বেরোতেও পারছেন না। সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে যত সমস্যা। তনয়ার মতো তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে পারেন না অনেকেই। অ্যালার্ম দিয়ে রাখলেও ঘুম ভাঙতে চায় না কিছুতেই। সকালে ওঠার অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাড়াতাড়ি দিন শুরু করার থেকে ভাল কিছু আর হয় না। অ্যালার্ম ছাড়াই সকাল সকাল ওঠার কয়েকটি উপায় রইল।
১) রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি থেকে দূরে থাকুন। প্রতি দিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করুন। চেষ্টা করুন রাতের খাওয়া সেরে নেওয়ার পর আর মোবাইল বা ল্যাপটপ না দেখতে। রাতে ঠিকঠাক ঘুম হলে সকালে উঠতেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। বেশ কিছু দিন এই অভ্যাসের মধ্যে দিয়ে গেলে দেখবেন অ্যালার্মও লাগছে না। এমনিতেই ঘুম ভেঙে যাচ্ছে।
২) রাতে বেশি ভারী কোনও খাবার না খাওয়াই ভাল। হালকা খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করবে। তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার রাতে খেলে বদহজম, অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তার প্রভাবে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ঘুমেও। অনেকেই রাতে কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন। এই অভ্যাসও ভাল নয়। ঘুম আসতে দেরি হয়। রাতে পর্যাপ্ত না ঘুমালে সকালে ঘুম ভাঙতে বেলা হয়ে যায়।
৩) অনেক সময় কোনও কাজের তাড়া থাকলে, এমনিতেই ঘুম ভেঙে যায়। সকালে ওঠার একটি কারণ তৈরি করুন। বাড়ির কোনও দায়িত্ব হতে পারে। নিজের পছন্দমতো কোনও কাজ করতে পারেন। প্রথম দিকে জোর করেই উঠে পড়ুন। কিছু দিন পর থেকে দেখবেন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy