বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৭৫ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বেড়েছে উদ্বেগজনক ভাবে। ২০১৬ সাল নাগাদ শিশুদের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮ শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দৈনন্দিন জীবনে কিছু নিয়ম মেনে চললেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে স্থূলতার সমস্যা।

১) স্বাস্থ্যকর অথচ হালকা খাবার খাওয়ান: চকোলেট, চিপস্‌, পেস্ট্রি, বিস্কুট শিশুদের পছন্দের খাবারগুলির মধ্যে পড়ে। তবে এই ধরনের খাবার একেবারেই শরীরবান্ধব নয়। বয়সের তুলনায় মাত্রাতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এই খাবারগুলিই। সেই কারণে অভিভাবকদের সন্তানের খাওয়াদাওয়ার বিষয়ে বাড়তি খেয়াল রাখা প্রয়োজন। বাড়ির খুদেটির রোজের খাদ্যতালিকায় রাখুন স্বাস্থ্যকর খাবার। শিশুরা অনেক সময়ে শাকসব্জি, মাছ একেবারেই খেতে চায় না। কিন্তু সে সব খাওয়া দরকার। ফলে শিশুদের ভাল লাগার মতো করে সে সব ধরনের খাবার তৈরি করে দিন।

২) নিয়মিত শরীরচর্চা করান: স্কুল, পড়াশোনা,পরীক্ষা— সব মিলিয়ে মাঠে দৌড়ঝাঁপ করার সুযোগ থাকে না শিশুদের কাছে। খেলাধুলো কমে যাওয়ার প্রভাব শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, শারীরিক দিক থেকেও ক্ষতিকর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি দিন অন্তত ৩০ মিনিট যদি শরীরচর্চা করা যায়, তবে অনেকটাই কমে স্থূলতার আশঙ্কা। শরীরচর্চা মানে কিন্তু শুধু ব্যায়াম নয়। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা কিংবা দৌড়ের মতো অভ্যাসও ব্যায়ামের ক্ষেত্রে সমান কার্যকর।

৩) প্রক্রিয়াজাত খাবার নয়: বাজারজাত ফাস্ট ফুড শুধু স্থূলতা নয়, ডেকে আনে আরও অন্যান্য গুরুতর অসুস্থতাও। তাই ছোট থেকেই সাবধান হওয়া জরুরি। শিশুদের মধ্যে এই ধরনের খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি। সুস্থ-সচল থাকতে এই ধরনের খাবারে লাগাম টানা জরুরি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।