Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Snoring

নাক ডাকার শব্দে বিরক্ত হয়ে ঘর আলাদা করার আগে সঙ্গীকে নিয়মিত অভ্যাস করান ৩ আসন

নাক ডাকার শব্দে অন্যদের অসুবিধা হয় বলে নয়, দীর্ঘ দিন ধরে এমন সমস্যা চলতে থাকলে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’য় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

Three effective yoga asanas to control your snoring

নাকের গর্জন বাড়তে দেবেন না। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৩
Share: Save:

এমনিতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু দাম্পত্য কলহের কারণ ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা। কারণ, নাক যিনি ডাকেন তিনি টের পান না। কিন্তু আশপাশের মানুষরা বিরক্ত হন। এই নিয়ে অশান্তি চরমে ওঠে। নাক ডাকা বিষয়টি শুনতে সাধারণ লাগলেও এই লক্ষণ কিন্তু অন্য কোনও রোগের ইঙ্গিতও হতে পারে। সাধারণত নিশ্বাসের নেওয়ার সময়ে মুখ বা নাকের মধ্যে বাতাসের গতিবিধি বাধাপ্রাপ্ত হলে এই ধরনের শব্দ শোনা যায়। শুধু নাক ডাকার শব্দে অন্যদের অসুবিধা হয় বলে নয়, দীর্ঘ দিন ধরে এমন সমস্যা চলতে থাকলে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’য় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিন্তু উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ নয়, নিয়মিত যোগ অভ্যাস করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কোন কোন আসন করবেন?

১) ধনুরাসন

পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দু’টি পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দু’টি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও ঊরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।

২) ভুজঙ্গাসন

মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন। পরবর্তী কালে ৫-৬ বারও করতে পারেন।

image of bhujungasana

নাক ডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।

৩) ভ্রামরী

প্রাণায়ামটি করার সময়ে ভ্রমরের মতো গুঞ্চন হয়, তাই এই নামকরণ। দুই হাতের তর্জনী, দুই কানের উপর রাখুন। নাক দিয়ে ধীরে ধীরে একটি গভীর শ্বাস ভিতরে টানুন। এ বার মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে নিশ্বাস ছাড়ার সময়ে গলা দিয়ে নিচু স্বরে একটি ‘হুম’ আওয়াজ করুন। এই প্রাণায়াম রোজ করতে পারলে মানসিক চাপ কমে, দূর হয় ক্লান্তি। স্নায়ুকে শান্ত করে।

অন্য বিষয়গুলি:

Snoring Yoga
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy