অনেকেরই দিন শুরু হয় এক কাপ গরম কফিতে চুমুক দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়তি ওজন রাতের ঘুম উড়িয়েছে? নিয়ম করে শরীরচর্চা করছেন, খাওয়াদাওয়াও নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন, তবুও মনের মতো ফল মিলছে কোথায়? দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কত ফন্দিই না ব্যবহার করি আমরা। তবে কফি খেলেও যে ওজন ঝরানো সম্ভব, সেই খবর রাখেন কি?
অনেকেরই দিন শুরু হয় এক কাপ গরম কফিতে চুমুক দিয়ে। সকাল সকাল ক্যাফিন আলস্য কাটাতে এবং শরীর চাঙ্গা করতে বেশ সাহায্য করে। কেউ খান দুধ-চিনি দিয়ে কফি, কারও আবার পছন্দ চিনি ছাড়া এস্প্রেসো! তবে ওজন ঝরানোর জন্য রোজের ডায়েটে রাখতে হবে বিশেষ কফি! ভাবছেন কী ভাবে বানাবেন?
ডার্ক চকোলেট কফি: চকোলেট শুনেই অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়ই? ডার্ক চকোলেটেও বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আর প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই দুই পদার্থ কফির সঙ্গে মিশলে বিপাক হার বাড়ে। এই কফি খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে, খিদের অনুভূতি কমায়। সব মিলে ওজন কমার প্রক্রিয়া গতি পায়। সকালে এই কফি দিয়ে দিনটা শুরু করলে ওজন ঝরার প্রক্রিয়া তরান্বিত হবে।
দারচিনি কফি: দারচিনিতে ভরপুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। ক্যাফিনের সঙ্গে সে সব অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মিশলে ওজন কমার প্রক্রিয়া আরও দ্রুত হতে পারে। হজমশক্তিও বাড়ে। তাই রোজের কালো কফিতেই এক চিমটে দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে দেখতে পারেন। তাড়াতাড়ি রোগা হবেন আর স্বাদেও বেশ বদল আসবে।
বুলেট কফি: যাঁরা কিটো ডায়েট করেন, তাঁদের খাদ্যতালিকায় এই কফি রাখেন পুষ্টিবিদরা। এক কাপ গরম জলে মিশিয়ে নিন এক টেবিল চামচ কফি। তবে কড়া কফি খেতে পছন্দ করলে পরিমাণ নিজের স্বাদ মতো বাড়িয়ে নিতে পারেন। তার পর সেই কফিতে মিশিয়ে দিন এক চা চামচ ঘি, মাখন ও নারকেল তেল। ভাল করে নাড়িয়ে নিন কফি। পরিবেশন করুন একেবারে গরম গরম। প্রাতরাশে এই কফি খেলে পেট অনেক ক্ষণ ভরা থাকবে, বিপাকহার বাড়বে। ফলে ওজনও কমবে তাড়াতাড়ি।
তবে কেবল কফি খেলেই যে ওজন কমে যাবে, এমনটা নয়। তার পাশাপাশি ডায়েট শরীরচর্চাও করতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy