দেখতে কালো কিন্তু কাজের। ছবি: সংগৃহীত।
‘কালো জগতের আলো’ সেই ছোটবেলায় শোনা প্রবাদ। তা সত্ত্বেও কালো রঙের চাল-ডাল কিংবা কালচে রঙের কোনও খাবার প্রথম ঝলকে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। দেখতে ভাল না লাগলেও এই কালো খাবার যে শরীরের নানা উপকারে আসে, তা কি জানেন? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কালো রঙের খাবারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ফাইবার এবং নানা রকম খনিজের পরিমাণ বেশি। শরীরে ভিটামিন, খনিজের জোগান দেওয়ার পাশাপাশি দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই খাবারগুলির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। জিম কিংবা যোগাসনের পাশাপাশি এই ‘কালো’ রঙের খাবারগুলি ডায়েটে রাখলে উপকারই হবে।
‘কালো’ রঙের কোন কোন খাবার খাওয়া যেতে পারে?
১) কালো চাল
অধিকাংশ মানুষই চান, ভাত হবে সাদা এবং ঝরঝরে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীর ভাল রাখতে চাইলে খেতে হবে কালো চালের ভাত। কালো চালের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যান্থোকায়নিন্স’। যা আসলে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। শরীরে প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই চাল। পাশাপাশি, কালো চালের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই এই চালের ভাত খেলে অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। কালো চালের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। তাই চট করে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় নেই।
২) চিয়া বীজ
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস হল চিয়া বীজ। ওজন ঝরানোর জন্য এই প্রত্যেকটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি, শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা, পেশি মজবুত করা এবং বিপাকক্রিয়া উন্নত করতেও সাহায্য করে চিয়া বীজ।
৩) কালো ডাল
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল ডাল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রোটিনের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে যে কোনও ধরনের ডালই খাওয়া যায়। তবে তার মধ্যে কালো মুসুর ডালে প্রোটিনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। পেশির গঠন থেকে বিপাকহার— সবই উন্নত করতে পারবেন কালো মুসুর ডাল খেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy