Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
japanese

Laziness hack: অলস থেকে তুফানি, ভরসা হোক জাপানি

যাপনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বুঝেও নিজেকে পরিবর্তনের প্রেরণা খুঁজে পান না অনেকে। কিন্তু জাপানী পদ্ধতি বদলে দিতে পারে সকলেই।

আপাত ভাবে তুচ্ছ মনে হলেও গোটা বিষয়টির ভিতরে রয়েছে বিজ্ঞান চেতনা।

আপাত ভাবে তুচ্ছ মনে হলেও গোটা বিষয়টির ভিতরে রয়েছে বিজ্ঞান চেতনা। ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৩৭
Share: Save:

জীবনের চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যেকার ব্যবধান নিয়ে মানসিক চাপে ভোগেন অনেকেই। কেউ স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় শরীরচর্চার সময় বার করে উঠতে পারেন না, কেউ বা এতো আলসেমিতে ভোগেন যে কাজের পর কাজ জমে যেতে থাকে কিন্তু করে হয়ে ওঠে না দিনের পর দিন। যাপনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে বুঝেও নিজেকে পরিবর্তনের প্রেরণা খুঁজে পান না অনেকেই। কেউ কেউ আবার ভোগেন মানসিক অবসাদে। কিন্তু জানেন কি একটি জাপানি পদ্ধতি বদলে দিতে পারে সবই?

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনে যে কোনও বড় লক্ষ্য একবারে পেতে চাইলে সাফল্যের তুলনায় ব্যর্থতার সম্ভবনাই বেশি। বিশেষত যাঁরা একটানা মনসংযোগ বজায় রাখতে পারেন না তাঁদের পক্ষে তো সমস্যা আরও বেশি। তাঁদের জন্য সমাধান হতে পারে কাইজেন পদ্ধতি।

জাপানের একটি প্রাচীন পদ্ধতি হল কাইজেন। জীবনে ছোট ছোট অথচ নিয়মিত পরিবর্তন এনে শেষ পর্যন্ত সামগ্রিক ভাবে একটি বৃহৎ পরিবর্তন ঘটানোই এই পদ্ধতির মূল কথা।

কাই শব্দের অর্থ হল পরিবর্তন আর জেন এর অর্থ প্রজ্ঞা। তবে পদ্ধতিটির কোনও বদ্ধমূল নিয়ম কানুন না থাকলেও অনেকেই কাইজেনকে এক ধরনের জীবন চর্চা বলেও মনে করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এক-দু’মিনিটের মতো অল্প সময় নিয়েও এক একটি বিশেষ কাজ নিয়মিত করে চলা যায় তবে তা শেষ পর্যন্ত একটি বড়সড় বদল নিয়ে আসতে পারে জীবনে।

কিন্তু কী ভাবে করবেন এর অনুশীলন? ধরুন আপনি কোনও একটি বই পড়তে চাইছেন দীর্ঘ দিন কিন্তু পড়া হয়ে উঠছে না কিছুতেই। দিনের একটি সময় নির্দিষ্ট করুন বই পড়ার জন্য। বেশি ক্ষণ নয়, বরং দু’-পাঁচ মিনিট সময় হলেই হবে। এ বার রোজ নিয়ম করে ওই একই সময়ে দুই মিনিট ধরে পড়তে থাকুন বইটি। যতই অসুবিধা থাকুক, কোনও মতেই বন্ধ করা যাবে না এই অনুশীলন। করতে করতে অনিচ্ছা কমে আসবে অচিরেই, তার পর চাইলে বাড়িয়ে নিতে পারেন সময়। যে কোনও একটি কাজ দিয়ে শুরু করে ধীরে ধীরে বাড়িয়ে নিন কাজের সংখ্যা। দেখবেন ক্রমেই একাধিক কাজের জন্য বেরিয়ে আসবে সময়।

আপাত ভাবে তুচ্ছ মনে হলেও গোটা বিষয়টির ভিতরে রয়েছে বিজ্ঞান চেতনা। আসলে যে কোনও বড় লক্ষ্য দেখলে সংশয় তৈরি করাই মস্তিষ্কের জন্য স্বাভাবিক। তাই বড় কোনও লক্ষ্যমাত্রা না রেখে তাকে ছোট ছোট লক্ষ্যে ভেঙে নিতে পারলেই কেল্লা ফতে। পাশাপাশি যে কোনও কাজেই প্রশিক্ষণ পেলে তা সম্পাদন করা সহজ হয় মস্তিষ্কের পক্ষে, এই পদ্ধতিতে কার্যত মস্তিস্ককে নিয়মিত কাজ করতে পারার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

অন্য বিষয়গুলি:

japanese Health Tips Life Hacks
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy