অর্শ কষ্ট দিচ্ছে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকালে অনেকের মধ্যেই জল খাওয়ার বিষয়ে অনীহা দেখা যায়। পর্যাপ্ত জল না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। যার ফলে অর্শের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডাক্তারি পরিভাষায় যা ‘হেমারয়েড’ নামে পরিচিত। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, পরিবারে কারও এই ধরনের সমস্যা থাকলে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া অতিরিক্ত ওজন তুললে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে, ফাইবারজাতীয় খাবার না খেলেও সেখান থেকে অর্শের সমস্যা হতে পারে। তাই শুরুতেই সতর্ক না হলে, এই সমস্যাগুলি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। কিন্তু বিষয়টি এমন যে উপসর্গ দেখা দিলেও তা নিয়ে খোলামেলা ভাবে কথা বলতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকে। মলম, ওষুধে কাজ না হলে তখন অস্ত্রোপচার ছাড়া আর অন্য কোনও উপায় থাকে না। তবে ঘরোয়া কিছু টোটকা মেনে চলতে পারলে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে অর্শের কষ্ট বশে রাখার উপায়:
১) নিয়মিত ফাইবারযুক্ত খাবার খেলে এই কষ্ট নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে।
২) শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা— যে কালই হোক, পর্যাপ্ত জল খেতে হবে। শরীরকে আর্দ্র রাখতে পারলে তবেই অর্শের কষ্ট ঠেকানো যেতে পারে।
৩) গরম জলের ভেপার নিতে হবে। সরাসরি মলদ্বারে গরম বাষ্প নিতে পারলে ভাল।
৪) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা যাতে না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৫) দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থাকা যাবে না। কাজের মাঝেও উঠে হেঁটে আসতে হবে।
কী ধরনের উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) মলত্যাগ করার সময়ে প্রচণ্ড ব্যথা, যন্ত্রণা হলে তা অর্শের লক্ষণ হতে পারে।
২) মলত্যাগ করার সময়ে মলদ্বার থেকে রক্তপাত হলেও সতর্ক থাকতে হবে।
৩) রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময়ে মলদ্বারে চুলকানি বা কোনও রকম অস্বস্তি হলেও খেয়াল রাখতে হবে সেখান থেকে অন্য দিকে মোড় নিচ্ছে কি না।
৪) মলদ্বারের আশপাশে ফুলে থাকলে বা টিউমারের মতো কিছু হয়েছে বলে বুঝতে পারলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy