দিনে দু’বার দাঁত মাজার ফাঁকে প্রায়শই মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। মুখগহ্বরের যত্ন নিতে মাজনের পাশাপাশি মাউথওয়াশ বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাড়ির বাইরে কিংবা অফিসে, প্রতি বার খাবার খাওয়ার পর দাঁত মাজা সম্ভব হয় না। তখন মাউথওয়াশই ভরসা। কিন্তু যত বারই এই তরলটি দিয়ে মুখ কুলকুচি করতে যান, তত বারই মুখের ভিতরটা জ্বালা করতে থাকে। মুখের ভিতর কোনও ঘা, ক্ষত না থাকলেও এমন সমস্যা হয়। এতে মুখের দুর্গন্ধ দূর হলেও মুখগহ্বরের কোনও ক্ষতি হচ্ছে কি?
আরও পড়ুন:
দাঁতের চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখগহ্বরের যত্ন নিতে মাউথওয়াশের ব্যবহার এখন খুবই সাধারণ ব্যাপার। দাঁত বা মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই তরল বেশ কার্যকর, কিন্তু নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করা মুখের মাইক্রোবায়োমের পক্ষে ক্ষতিকর। যে হেতু এই তরলটির মধ্যে অ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি। তাই এই তরল মুখের ভিতর গেলেই জ্বালা করতে থাকে। এই অ্যালকোহলের কারণেই মুখের ভিতরের লালারস শুকিয়ে যেতে পারে। মুখগহ্বর শুকনো হয়ে গেলেও কিন্তু মুখে দুর্গন্ধ হয়।
শুধু কি তাই? হার্ট ভাল রাখার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান হল নাইট্রিক অক্সাইড। অতিরিক্ত মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে এই নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন ব্যাহত হয়। তাই দাঁত বা মাড়ির কোনও সমস্যা হলে চিকিৎসকেরা হার্টের ব্যাপারে সতর্ক করেন।
আরও পড়ুন:
মাউথওয়াশের পরিবর্তে কী ব্যবহার করতে পারেন, যা মুখগহ্বরের কোনও ক্ষতি করবে না?
১. এমন ধরনের মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে হবে, যেগুলি নন-অ্যালকোহলিক গোত্রের। এবং যার মধ্যে ‘ফ্লুরাইড’ রয়েছে।
২. মুখের পিএইচের সমতা রক্ষা করে, এমন মাজন ব্যবহার করাই ভাল।
৩. মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ব্রাশের দিকেও নজর দিতে হবে। ইদানীং দাঁত মাজার জন্য অনেকেই বিদ্যুৎচালিত ব্রাশ ব্যবহার করেন। চাইলে সেগুলিও ব্যবহার করা যায়।