খাওয়ার পর যেন পেটের গোলমাল না হয়। ছবি: সংগৃহীত।
ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে মিষ্টি খাইয়ে সম্পর্কের বন্ধন আরও দৃঢ় করার উৎসব রাখিবন্ধন। তবে উৎসব যখন, শুধু মিষ্টিমুখে তো আর থেমে থাকতে পারে না। তাই ভাই-দাদাদের পেটপুজোর জন্য খাওয়াদাওয়ার এলাহি আয়োজন করেন দিদি-বোনেরা। ইলিশের মরসুম, তাই মেনুতে পাতুরি কিংবা ভাপা তো থাকবেই। সঙ্গে কচি পাঁঠার ঝোল, কোফতা-কালিয়াও বাদ যাবে না। তবে ভরপেট খাওয়ার পর যদি ভাই-দাদারা কয়েকটি কাজ করে ফেলেন, তা হলে পড়তে হবে মুশকিলে।
ধূমপান
খাবার খাওয়ার পর অনেকেরই ধূমপানের অভ্যাস রয়েছে। তবে রাখির দুপুরে ভূরিভোজের পরেই সুখটান না দেওয়াই শ্রেয়। তাতে হজম হতে দেরি হবে। পেটের গোলমাল হতে পারে। তা ছাড়া এই অভ্যাসে অন্ত্রের ক্ষতি হয়। পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে এর ফলে।
ফল খাওয়া
ভরপেটে খেয়ে উঠেই ফল খাবেন না। কেউ জোরাজুরি করলেও নয়। এর ফলে বদহজম হতে পারে। বিশেষ করে লেবুজাতীয় ফল খেলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বদহজম, বুকজ্বালা, পেটের গোলমালও দেখা দিতে পারে।
চা খাওয়া
খাবার খাওয়ার পরেই চায়ে চুমুক না দেওয়াই শ্রেয়। মাছ, মাংসে ভরপুর প্রোটিন থাকে। প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার পর চা খেলে হজমে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। চায়ে থাকা ট্যানিন প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। যা শরীরে আয়রন শোষণে বাধা দেয়।
ঘুম
ভালমন্দ খেয়ে ঘুম পাওয়া স্বাভাবিক। তবে ভরপেটে খাওয়ার পর ঘুমিয়ে পড়া ঠিক হবে না। এতে খাবার হজম হতে পারে না। ঘুমিয়ে পড়লে হজমে ব্যাঘাত ঘটে। তাঅ খাবার খাওয়ার পর হাঁটাচলা করুন।
স্নান করা
খাবার খাওয়ার পর স্নান করলে বেশ চনমনে লাগে? তবে ভরপেট খেয়ে স্নান না করাই শ্রেয়। এতে বিপাক হার কমে যায়। ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট কিংবা অতিরিক্ত ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়ার পর স্নান করলে হজম প্রক্রিয়া আরও ধীর হয়ে যায়। তখন পেটের গোলমাল হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy