ঘুম ভাঙার পর কী কী কাজ একদম করবেন না। ছবি: ফ্রিপিক।
ঘুমচোখ খুলেই কী করেন? বেশির ভাগই বলবেন, ঘুম ভাঙলেই আগে মোবাইলে চোখ রাখি। বিছানায় আলস্য ভরে শুয়ে শুয়েই মুঠোফোনে ঘাঁটাঘাঁটি করি অনেক ক্ষণ। তার পর গরম চা বা কফিতে লম্বা চুমুক দিয়েই, রোজের তাড়াহুড়ো শুরু হয়। কেউ শরীরচর্চা করেন, আবার কেউ করেন না। ঠিক মতো প্রাতরাশ না খেয়েই বেরিয়ে পড়েন। তার পর রাস্তা থেকে শিঙাড়া, কচুরি খেয়ে পেট ভরিয়ে ফেলেন। কাজের জায়গায় গিয়ে ফের কাপের পর কাপ চা বা কফি চলে দিনভর। এই সব কিন্তু সঠিক অভ্যাস নয়। চিকিৎকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে উঠে এমন কিছু কাজ আমরা রোজই করে থাকি, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। উৎসাহ ও উদ্দীপনাকে অনেক কমিয়ে দেয় এই সব অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ফলে রাতে ভাল ঘুম হলেও, সকালে তরতাজা লাগে না। কাজেও ঠিক মতো মন বসে না।
তা হলে চলুন জেনে নিই, ঘুম থেকে ওঠার পর পরই ঠিক কোন কোন কাজ আমাদের করা উচিত নয়।
ঘুম চোখ খুলেই মুঠোফোন হাতড়ান?
এই অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। ঘুম চোখ খুলেই মোবাইল ঘাঁটতে শুরু করলে সবচেয়ে আগে চোখে তার প্রভাব পড়বে। সারা রাত চোখ বিশ্রাম পাওয়ার পর পরই যদি মোবাইলের নীল আলো চোখে পড়ে, তা হলে চোখের আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে। দেখবেন, কিছু ক্ষণ মোবাইলে চোখ রাখলেই চোখ জ্বালা করতে থাকবে, জল পড়বে,চুলকানি হবে। তা ছাড়া এই অভ্যাস ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয় দিনের শুরুতেই। তরতাজা ভাবটাই নষ্ট হয়ে যায়। আরও বেশি আলস্য চেপে ধরে। সকাল সকাল কাজের উৎসাহই হারিয়ে যায়।
হুড়োহুড়ি করে বিছানা থেকে নামেন?
ঘুম ভাঙার পর তাড়াহুড়ো করে বিছানা ছেড়ে মাটিতে নেমে পড়েন অনেকে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঘুম ভাঙলেই হুড়োহুড়ি করে উঠবেন না। ধীরে ধীরে পাশ ফিরে উঠতে হবে। মিনিট দুই-তিনেক বিছানায় বসে থাকুন। তার পর পা রাখুন মাটিতে। আগে এক পা মাটিতে রাখুন, তার পর অন্য পা। ঘুমের সময়ে আমাদের হৃৎস্পন্দনের হার কম থাকে, রক্ত সঞ্চালনও ধীর গতিতে হয়। তাই জেগে ওঠার পর শরীরকে সেই অবস্থার সঙ্গে আগে মানাতে হবে। হঠাৎ করে বিছানা থেকে নেমে হাঁটাচলা শুরু করে দিলে আচমকা রক্তচাপ কমে যেতে পারে, মাথা ঘুরে পড়েও যেতে পারেন।
ঘুম থেকে উঠেই চা বা কফি খাবেন না
সকালে উঠেই এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চায়ের সঙ্গে দিন শুরু করতে না পারলে গোটা দিনটাই যেন ঠিকঠাক হয় না। আমবাঙালি দিন শুরু করেন চায়ের পেয়ালা নিয়েই। এখন তো আবার অনেকে কফিও খান। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, চা বা কফিতে বেশি মাত্রায় ক্যাফিন থাকে। সকালে খালি পেটে ক্যাফিন শরীরে ঢুকলে তা হজমের প্রক্রিয়াকে বিগড়ে দিতে পারে। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। তা ছাড়া দুধ ও চিনি দেওয়া চা বা কফি খেলে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়ে। যা কিডনি রোগীদের জন্য বিশেষ ভাবে ক্ষতিকর।
ব্রাশ করেন তো?
ঘুম থেকে উঠেই ব্রাশ না করে প্রাত্যহিক কাজ শুরু করেন অনেকে। মুখ না ধুয়েই চা বা কফি খেয়ে নেন। এতে কিন্তু দাঁতের এনামেল নষ্ট হয়ে যায়। মুখের দুর্গন্ধ, ক্যাভিটি ও দাঁতের অন্যান্য রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
না খেয়েই বেরিয়ে পড়া
অনেকেই আছেন যাঁরা সকাল থেকেই তাড়াহুড়ো শুরু করেন। কারণ সঠিক পরিকল্পনা থাকায়, কোন কাজ আগে আর কোনটি পরে করবেন, সে খেয়াল থাকে না। ফলে কাজেও দেরি হয়। আর তার ফলে সময় বাঁচাতে প্রাতরাশ না খেয়েই বেরিয়ে পড়তে হয়।পুষ্টিবিদেদের মতে, প্রাতরাশ সারা দিনের খাবারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আহার। সকালে কিছু না খেলে ওজন বাড়তে থাকে। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে খাবার খেলে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সকালে না খাওয়ার অভ্যাস টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। তা ছাড়া হজমের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy