থাইরয়েড থাকলে কি ফুলকপি, বাঁধাকপি একেবারে বাদ দিতে হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সময়টাতে বাজারে নানা রকম সব্জি। এই সময়ে পাতে বাঁধাকপি, ফুলকপি বা পালং শাকের বিভিন্ন পদ থাকবেই। শীতের ফুলকপি খেতেও যেমন ভাল, তেমন নানা সুস্বাদু পদও রাঁধা যায়। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয় থাইরয়েড থাকলে। চিকিৎসকেরা অনেক সময়েই বলে থাকেন, থাইরয়েড থাকলে বাঁধাকপি, ফুলকপির মতো সব্জি না খেতে। কারণ এই জাতীয় সব্জি থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। কিন্তু ঠান্ডার সময়ে ফুলকপিই যদি পাতে না পড়ে, তা হলে কী আর ভাল লাগে? তা হলে উপায়?
রক্তে থাইরয়েড নিঃসৃত হরমোনের পরিমাণ যদি বেড়ে যায়, তখন তাকে বলে ‘হাইপারথাইরয়েডিজম’ এবং হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে বলা হয় ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’। হাইপোথাইরয়েডিজম থাকলে শরীরের থাইরয়েড গ্ল্যান্ড পরিমাণ মতো হরমোন ক্ষরণ করে না। তাই চুল পড়ে যাওয়া, হৃদ্স্পন্দন কমে যাওয়া, বিপাক হার কমে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। দুই ক্ষেত্রেই খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ নজর দিতে হয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, থাইরয়েড বেড়ে গেলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে। বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার থাইরয়েড বাড়িয়ে দেয়। আবার মুলো, রাঙা আলু, চিনে বাদামও খাওয়া যায় না।
ফুলকপিতে গয়ট্রোজেন নামে এক ধরনের রাসায়নিক থাকে যা থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। সে জন্যই ফুলকপি বা বাঁধাকপির মতো সব্জি খেতে বারণ করা হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ফুলকপি, বাঁধাকপি বা পালং শাক যদি ভাল করে সিদ্ধ করে জল ফেলে দিয়ে তার পর রান্না করে খাওয়া যায়, তা হলে সমস্যা কম হবে। ভাল করে সিদ্ধ করলে ওই রাসায়নিকের মাত্রা কমে যায়, তখন তা খেলে অত সমস্যা হবে না।
থাইরয়েড থাকলে এমন খাবার খেতে বলা হয়, যাতে কপার ও আয়রন বেশি পরিমাণে আছে। টাটকা মাংস, মাছ, ডিম, গমের আটা, কাজুতে প্রচুর পরিমাণে কপার ও আয়রন আছে। ভিটামিন সি আছে এমন ফল যেমন লেবু, পেয়ারা, ক্যাপসিকাম খেতে পারেন। তবে ময়দার কোনও খাবার, শুকনো ফল, কফি, চকোলেট, ঠান্ডা পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে থাইরয়েড বেড়ে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy