সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। —ফাইল চিত্র
প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রবীণদের মধ্যেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি— এমনটাই মনে করতেন অনেকে। সবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা মনে করায়, কম বয়সিদেরও স্ট্রোক হতে পারে। ২৫ বছরের বেশি বয়সিদের মধ্যে শতকরা এক জন করে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। বিভিন্ন কারণে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর পথ সরু হয়ে যায় এবং আচমকা চর্বির ডেলা আটকে রক্ত চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এ রকম হলে মস্তিষ্কের কোষ অক্সিজেনের অভাবে নিস্তেজ হতে হতে অকেজো হয়ে যায়। এটাই স্ট্রোক। সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে রোগীর পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সদা সতর্ক থাকা প্রয়োজন। তার আগে জানতে হবে কেন হয় এই স্ট্রোক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রোজের কিছু বদঅভ্যাসই বাড়িয়ে দেয় স্ট্রোকের ঝুঁকি।
১) স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ৮০ শতাংশ কমাতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। অতিরিক্ত লবণ, চিনি ও স্নেহপদার্থ যুক্ত খাবার বাড়ায় স্ট্রোকের আশঙ্কা। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। যাঁরা আগে থেকেই ঝুঁকি সম্পন্ন, তাঁদের ডিমের কুসুম ও মাংস খাওয়া ছাড়তে হতে পারে।
২) শরীরচর্চার অভাব ও সারা দিন শুয়ে-বসে থাকা ডেকে আনে এই রোগ। অলস জীবনযাপনে বাড়ে ওজন, কমে পেশি ও হাড়ের সক্ষমতা। বিপাকের হারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩) ধূমপানের ফলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করে। এমনকি, পরোক্ষ ধূমপানেও প্রবল ক্ষতি হয় শরীরের। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা যায় কমে। ফলে ফুসফুসের পাশাপাশি ক্ষতি হয় সংবহনতন্ত্রেরও।
৪) অতিরিক্ত মদ্যপান অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। অ্যালকোহল শিরা ও ধমনীর স্থিতিস্থাপকতাকে মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যা স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারণ।
তবে এই ৪টি কারণ ছাড়াও স্ট্রোকের অন্যতম কারণ হল সচেতনতার অভাব ও নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলা করা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy