সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
দৈনন্দিন জীবনযাপনের কিছু নিত্য অনিয়মে ‘পিসিওএস’ মতো সমস্যার শিকার হচ্ছেন মহিলারা। পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে ২০ শতাংশের বেশি মহিলা এই রোগে আক্রান্ত। নারী শরীরে হরমোন ক্ষরণের তারতম্য মূলত এই রোগের কারণ। এর জেরে মানসিক উদ্বেগ, স্থূলতার মতো সমস্যার পাশাপাশি শরীরে বাসা বাঁধতে পারে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের মতো রোগও। এই অসুখে সাধারণত অনিয়মিত ঋতুস্রাব হয়। শরীরে অবাঞ্ছিত রোম দেখা দেয়। কারও ক্ষেত্রে টাকও পড়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে তো চলবেনই। সেই সঙ্গে সুস্থ থাকতে খাওয়াদাওয়ার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ পিসিওএসের সমস্যা থাকলে ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। সুস্থ থাকতে কোন ফলগুলি বেশি করে খাবেন?
আপেল
শরীর সামগ্রিক উন্নতিতে আপেলের জুড়ি মেলা ভার। পিসিওএস থাকলে আপেল বেশি করে খাওয়া জরুরি। এই ফলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক কম। ফলে সেই সঙ্গে ক্যালোরির পরিমাণও কম। এক দিকে যেমন ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কম থাকছে, অন্য দিকে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পিসিওএস থাকলে যে খাবারগুলি নিশ্চিন্তে খাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হল আপেল।
বেরি
ব্লুবেরি, স্ট্রবেরির মতো ফল পিসিওএসের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই সব ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, খনিজ পদার্থ, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফাইবার, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো উপকারী সব স্বাস্থ্যগুণ। এ ছাড়াও বেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারও। যা রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কিছুটা হলেও কমে। বেরিতে থাকা উচ্চ মাত্রার ফাইবার দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। ফলে বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে না। এতে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অনেকটা কমে।
কমলালেবু
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল পিসিওএস রোগীদের জন্য একেবারে উপযুক্ত। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই ফল রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই ফলে থাকা ফাইবার হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতেও এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। পিসিওএসে থাকলে অতি অবশ্যই পাতে রাখুন কমলালেবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy