বয়স বাড়লে হজমের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ছবি: সংগৃহীত
সুস্থ থাকতে ও ওজন কমাতে শরীরচর্চার এক বড় ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসও সমান গুরুত্বপূর্ণ। রোজের খাদ্যতালিকায় কী থাকছে তার উপর শরীরের ভালমন্দ, ওজন হ্রাসবৃদ্ধি নির্ভর করে। বয়স ভেদে হজম ক্ষমতা, বিপাক হার বদলে যেতে থাকে। কম বয়সে হজমশক্তি যতটা উন্নত থাকে বয়স বাড়লে হজমের সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। পুষ্টিবিদদের মতে, বয়স অনুযায়ী খাওয়াদাওয়া করা প্রয়োজন। এতে শরীরও সুস্থ থাকবে। ওজনও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
২০ বছর বয়সিদের জন্য
বয়ঃসন্ধি পেরিয়ে এসে এই সময়ে বেশি ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, সামুদ্রিক মাছ, ওটমিল, প্রচুর ফল, শাকসব্জি খাওয়া প্রয়োজন। দাঁত, হাড়, পেশির গঠন দৃঢ় ও মজবুত করতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলি রাখা প্রয়োজন।
৩০ বছর বয়সিদের জন্য
বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোলে শরীরে নানা জটিলতা তৈরি হতে থাকে। এই সময় থেকে হৃদ্যন্ত্রের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তার জন্য প্রয়োজন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার অভ্যাস। ৩০ পেরোলে রোজের খাবারে রাখতে পারেন বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, ডিম, শাকসব্জি।
৪০ বছর বয়সিদের জন্য
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরে অনেক প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি দেখা যায়। তার মধ্যে একটি হল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। ক্যানসারের মতো মারণরোগ প্রতিরোধ করতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট অপরিহার্য। ব্রকোলি, পালংশাক, বেরি জাতীয় ফলের মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ খাবার খান বেশি করে। তাছাড়া ওজন বাড়ার ভয়ে এই বয়সে খাবার থেকে কার্বোহাইড্রেট বাদ দেবেন না। পরিমিত পরিমাণে ভাত, রুটি, ডালিয়া, পাস্তা খেতেই পারেন। সুস্থ থাকবে শরীর।
৫০ বছর বয়সিদের জন্য
বয়স ৫০ ছুঁইছুঁই মানে মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুবন্ধের সময় আসন্ন। পুরুষদের ক্ষেত্রেও নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। পুরুষ ও মহিলা নির্বিশেষে কোলেস্টেরল, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানা শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হন। এই বয়সে বেশি করে সবুজ শাকসব্জি, ফলমূল খাওয়ার দিকে নজর দিন। নুন ও চিনি একেবারেই বাদ দিন রোজের খাদ্যতালিকা থেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy