নিয়ম করে জিমে যাচ্ছেন। ঘাম ঝরাচ্ছেন। দীর্ঘ সময় ধরে লোহালক্কড় তুলছেন। রোজই এক নিয়ম মেনে চলেছেন। অথচ এত চেষ্টা করেও কিছুতেই ওজন কমাতে পারছেন না। জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করলেই সঙ্গে সঙ্গে ছিপছিপে হয়ে ওঠা যায়, বিষয়টি এতটা সহজ নয়। সঠিক পথে পরিশ্রম করলে সুফল পাওয়া অসম্ভবও কিছু নয়। তার জন্য সঠিক পথটি বেছে নিতে হবে। শরীরচর্চা করলে ওজন কমানো যায়, তা মিথ্যা নয়। কিন্তু শুধু ঘাম ঝরালেই তারকাদের মতো চেহারা পাওয়া সম্ভব নয়। তার জন্য খাওয়াদাওয়াতেও বদল আনতে হবে। জিম করার পাশাপাশি কোন খাবারগুলি খেলে ওজন কমানো সহজ হবে?
বাদাম
রোগা হওয়ার ডায়েটে যদি বাদাম না থাকে, তা হলে ওজন ঝরানোর স্বপ্ন অধরা থেকে যেতে পারে। তাই রোগা হতে চাইলে বাদাম খেতেই হবে। বাদামে রয়েছে প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এই প্রতিটি উপাদান দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
টকজাতীয় ফল
ভিটামিন সি শুধু সর্দি-কাশি কমায় না, ওজনও ঝরায়। তাই ওজন ঝরাতে চাইলে টকজাতীয় ফল খাওয়া জরুরি। কারণ এই ধরনের ফলে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তা ছাড়া অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশি এবং ক্যালোরি কম থাকায় টকজাতীয় ফল খেলে ওজন নিয়ে ভাবনা দূর হবে।
আরও পড়ুন:
ডাল
শুধু মাংস সেদ্ধ, ডিম আর প্রোটিন ‘শেক’ খেয়ে রোগা হয়ে সম্ভব নয়। মুগ, মুসুর, বিউলির ডালও খেতে হবে ওজন ঝরানোর জন্য। কারণ ডালে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন বি, আয়রন, প্রোটিনের মতো উপাদান। নিয়মিত ডাল খেলে শুধু শরীরের শক্তিই বাড়ে না, ওজনও কমে।
মাছ
মাছেভাতে বাঙালি। মাছ না খেলে অধিকাংশ বাঙালির যেমন মন খারাপ হয়, তেমন মাছ কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই ছিপছিপে হতে চাইলে মাছও খেতে হবে। বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছ ওজন কমাতে খুব সাহায্য করে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছ খেতে পারলে ওজন কমানো অনেক সহজ হবে।