শীতকাল মানেই বিয়েবাড়ির মরসুম শুরু সঙ্গে দেদার খাওয়াদাওয়া। প্রতীকী ছবি।
শরৎ পেরিয়ে রাজ্যে শীত ঢোকার পালা। একটু একটু করে ঠান্ডা পড়াও শুরু হয়েছে। শীতকাল মানেই বিয়েবাড়ির মরসুম শুরু। গোটা শীতকাল জুড়ে চলতেই থাকবে আরও নানা অনুষ্ঠান। সামনেই বড় দিন। তার উপর পিকনিক তো রয়েছেই। একের পর এক উৎসবের ভূরিভোজে সবচেয়ে বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে পেট। বছরের বাকি সময়টা ডায়েট মেনে চললেও শীতকালে মন যেন মানতেই চায় না। অগত্যা ভাজাভুজি, বিরিয়ানি, পৌষপার্বণে পিঠেপুলি— সবই পাতে পড়তে থাকে একের পর এক।
অনেক দিন ধরে এমন চলতে থাকলে পেটের সমস্যা হওয়াটা স্বাভাবিক। হজমের সমস্যার কারণে বদহজম, অম্বলের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাই পেট সুস্থ রাখার প্রস্তুতি নিতে হবে আগে থেকেই। শীত পড়তে এখনও কিছুটা দেরি। পেটের খেয়াল রাখতে খাবারদাবারে খানিক বদল আনুন।
মরসুমি শাকসব্জি
শীত শীত ভাব পড়তেই বাজার ছেঁয়ে গিয়েছে নানা মরসুমি শাকসব্জিতে। ব্রকোলি, গাজর, বিন্স, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সিম— কী নেই সেই তালিকায়! শীতকালীন উৎসবে মেতে ওঠার আগে পেটের যত্ন নিতে রোজের তালিকায় রাখুন এই সব্জিগুলি। এর উপকারী স্বাস্থ্যগুণ ভাল রাখবে পেট।
ঘি
বেশি ঘি খেলে পেট গরম হয়— অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, হজমশক্তি ভাল রাখতে ঘিয়ের ভূমিকা অনবদ্য। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল রাখতেও ঘিয়ের জুড়ি মেলা ভার। শীতে ভালমন্দ খেয়েও সুস্থ থাকতে রোজের পাতে রাখতে পারেন এক চামচ ঘি।
ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফাইবার-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খান। ফাইবার হজমক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। শীতকালে তো বটেই, এখনও রোজের পাতে রাখুন পেয়ারা, আপেল, অ্যাভোকাডো, গাজরের মতো কিছু ফল এবং সব্জি।
প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার
সুস্থ শরীরের অন্যতম ভিত্তি হল প্রোটিনের পর্যাপ্ত জোগান। শীতকাল বলে নয়, সারা বছর শরীর সুস্থ রাখতে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। শরীরের অন্দরে অনেক সমস্যার সমাধান করে প্রোটিন ভরপুর খাবার। ডিম, মাংস, দই, ডালের মতো খাবার বেশি করে খান। শীতকালে পর পর ভূরিভোজ করেও সুস্থ থাকবে পেট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy