‘মিনি স্ট্রোক’-এর লক্ষণ কী কী? প্রতীকী ছবি।
প্রবীণদের মধ্যেই স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি— এমনটাই মনে করতেন অনেকে। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে, কমবয়সিদেরও স্ট্রোক হতে পারে। বিশেষ করে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাপনে অসংযম, অতিরিক্ত নেশার প্রবণতা এর জন্য দায়ী। স্ট্রোকের প্রকারভেদ রয়েছে। ইস্কিমিক স্ট্রোক দেখা যায় সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে। তবে কমবয়সিদের মধ্যে ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা ‘টিআইএ’ বেশি হতে দেখা যাচ্ছে।
এই বিষয়ে চিকিৎসক দিলীপ কুমারের মত, স্ট্রোকের লক্ষণ জানান দেয় আগেই। সচেতনতার অভাবে তা বুঝতে পারেন না বেশির ভাগই। কী কী সেই লক্ষণ? চিকিৎসক বলছেন, “কথা বলতে বলতে আচমকা জিভ অবশ হয়ে গেল, হাত তুলে বোঝানোর চেষ্টা করতে গিয়ে দেখলেন, হাত তোলাও অসম্ভব। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার সব আগের মতোই স্বাভাবিক। তাই সে যাত্রায় চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা মাথাতেই এল না। তার পরেই হয়তো কয়েক মাস পরে আচমকা বড়সড় স্ট্রোকের ধাক্কায় একেবারে যমে-মানুষে টানাটানি। তখন শরীরের এক দিক পক্ষাঘাতগ্রস্তও হয়ে যেতে পারে।”
কয়েক মিনিট এ রকম কথা বলতে না পারা, হাত বা পা অসাড় হয়ে যাওয়া অথবা চোখে অন্ধকার দেখার মতো ঘটনাকে চিকিৎসার পরিভাষায় বলে ‘ট্র্যানসিয়েন্ট ইসকিমিক অ্যাটাক’ বা ‘টিআইএ’। সাধারণ ভাবে একে 'মিনি স্ট্রোক' বলা যায়। এই সময়ে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ না নিলে কিছু দিনের মধ্যেই বড়সড় বিপদ ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়।
সাবধানে থাকবেন কী ভাবে?
স্ট্রোকের লক্ষণ দেখলেই যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। স্ট্রোক হওয়ার পর সাড়ে চার ঘণ্টা হল 'গোল্ডেন আওয়ার'। এর মধ্যে ইন্টারভেনশন পদ্ধতির সাহায্যে মস্তিষ্কের রক্তবাহী ধমনীর রক্তপ্রবাহ স্বাভাবিক করে দিতে পারলে রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে সময় লাগে না।
সুষম ডায়েট, নিয়ম মেনে শরীরচর্চা ও নেশার মাত্রা কমিয়ে দিলে স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা কমবে অনেকটাই। পর্যাপ্ত ঘুমও জরুরি। যাঁরা রাতের পর রাত জেগে কাজ করেন, বাইরের খাবার বেশি খান, সেই সঙ্গে প্রবল মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তাঁদের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি।
আচমকাই দুর্বল বোধ করা, হাঁটাচলার সময়ে শরীরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলা, কথা বলতে সমস্যা হওয়া, চিন্তাভাবনা গুলিয়ে যাওয়া, এক চোখে বা দুই চোখেই দৃষ্টি ঝাপসা হতে থাকলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। গোড়া থেকেই রোগ ধরা পড়লে বিপদ কমবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy