মাথা যন্ত্রণা হয় কেন? ছবি: সংগৃহীত।
মাথা থাকলেই মাথাব্যথা হবে। এ আর নতুন কথা কী! কিন্তু, সকলের মাথাব্যথার কারণ এক রকম নয়। চড়া রোদে কিংবা ঠান্ডা-গরমে কারও মাথা যন্ত্রণা করে। আবার, মাইগ্রেন বা সাইনাসাইটিসের সমস্যা থাকলেও এমন কষ্ট হতে পারে। অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকলেও মাথাব্যথা হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে এই মাথাব্যথা বা মাথা যন্ত্রণা মারণরোগের লক্ষণ হতে পারে। তবে তা সাধারণ মানুষের বোঝার ঊর্ধ্বে। কিন্তু সামান্য মাথাব্যথা বা যন্ত্রণা হলেই তো সকলে চিকিৎসকের কাছে ছুটে যান না! ঘরোয়া টোটকাতেও কাজ হয়। কিন্তু তার আগে মাথার ব্যথার ধরন সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা প্রয়োজন।
আয়ুর্বেদ মতে মাথাব্যথা কত প্রকার?
১) বাতজ মাথাব্যথা:
অতিরিক্ত ক্লান্তি, মানসিক চাপ কিংবা আঘাত থেকে বাতজ মাথাব্যথা হয়। আবার প্রচণ্ড কান্নাকাটি, অতিরিক্ত কথা বলা কিংবা কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার দাপটেও মাথার দু’পাশ দপদপ করে। সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণাও হতে পারে। গরম কোনও পানীয় খেলে কিংবা মাথায় উষ্ণ তেল মালিশ করলে এই ধরনের সমস্যায় আরাম মেলে।
২) পিত্তজ মাথাব্যথা:
পিত্তজ মাথাব্যথার বিস্তার মাথার পিছন দিক থেকে কপাল, চোখ পর্যন্ত। এই ধরনের যন্ত্রণা সাধারণত মাথার অর্ধেকটা জুড়ে হয়। অনেকেই যাকে ‘আধকপালি’ বলে জানেন। যার পোশাকি নাম ‘মাইগ্রেন’। এই ধরনের মাথাব্যথার সঙ্গে সূর্যের যোগ রয়েছে। দিনের শুরুতে এই ব্যথার তীব্রতা কম থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। খালি পেটে থাকলেও মাইগ্রেনের দাপট বৃদ্ধি পায়। মাইগ্রেনের ব্যথা নিরাময়ে আবার উষ্ণ নয়, ঠান্ডা প্রকৃতির তেল কাজ দেয়। মাথার দু’পাশে চন্দন, পুদিনা, ইউক্যালিপটাস অয়েল দিয়ে মালিশ করা যেতে পারে।
৩) কফজ মাথাব্যথা:
ঠান্ডা লাগা, মাথায় কফ জমা কিংবা সাইনাসাইটিসের জন্যও মাথাব্যথা কিংবা মাথাভার হয়ে থাকে। ঠিক মতো শ্বাস নিতে না পারলে বা শরীরে অক্সিজেনের অভাব হলেও মাথায় এই ধরনের কষ্ট হতে পারে। ব্যথা নিরাময়ে গরম জলের ভাপ, ঈষদুষ্ণ পানীয় খেলে কাফজ মাথাব্যথায় আরাম মেলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy