দারচিনি শরীরের যত্ন নেয়। ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় দারচিনি পড়লে স্বাদ যে রাজকীয় হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে হেঁশেলেই একমাত্র দারচিনির সীমাবদ্ধতা নয়। দারচিনি এমনিতেই অত্যন্ত উপকারী। দারচিনির গুণে শারীরিক বেশ কিছু সমস্যা দূর হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে মেদ ঝরাতে চিনি না খাওয়া বন্ধ করলে, দারচিনি চোখের মণি হয়ে ওঠে। টক দইয়ের সঙ্গে দারচিনি পেটের জমে থাকা মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। হজমক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও দারচিনির জুড়ি মেলা ভার। সুস্থ থাকতে আর কী ভাবে সাহায্য করে দারচিনি?
১) হেঁশেলে যত প্রকার মশলা রয়েছে, তার মধ্যে দারচিনিতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। রোজ লেবুর জলে এক চিমটে দারচিনি খেলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভাল হবে।
২) শরীরে যে কোনও রকম প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই মশলায়। দেহের কোনও টিস্যুর ক্ষতি হলে বা শরীরে কোথাও আঘাত পেলে ব্যথা কমাতে পারে দারচিনি।
৩) সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে দারচিনি। প্রতি দিন আধ চামচের থেকে সামান্য কম পরিমাণে দারচিনি খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৪) ইনসুলিন হরমোন উৎপাদন এবং ক্ষরণের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে দারচিনি। টাইপ-২ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এই মশলা দারুণ কার্যকরী।
৫) ক্যানসার রোগের চিকিৎসা এবং এই রোগের ঝুঁকি কমানোর পিছনে কতটা কার্যকর দারচিনি, তা নিয়ে গবেষণা চলছে বিশ্বজু়ড়ে। ক্যানসার আক্রান্ত কোষ যাতে শরীরে ছড়িয়ে না পড়ে, তার পিছনে দারচিনির কতটা অবদান রয়েছে, তা নিয়েই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy