প্রতীকী ছবি।
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রম (পিসিওএস) হল এমন একটি রোগ, যা শরীরে হাজার সমস্যার জন্ম দিতে পারে। জীবনধারায় নানা বদলের কারণে সারা বিশ্বেই বাড়ছে পিসিওএসের সমস্যা। সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রায় ২০ শতাংশ মহিলা এই রোগে আক্রান্ত।
পিসিওএস খুব জটিল সমস্যা। তবে তা নিয়ন্ত্রণের ঊর্ধ্বে নয়। জীবনযাত্রায় কিছু বদল আনলে এবং নতুন কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলে অনেকটাই সুস্থ রাখা যায় শরীর।
হরমোনের তারতম্যের কারণেই হয় পিসিওএস। কিন্তু নিয়ম করে খাওয়াদাওয়া করতে পারলে তা থেকে অনেকটা মুক্তিও মেলে। এমন কিছু উপাদান এ ক্ষেত্রে শরীরে প্রয়োজন, যা আমাদের রোজের খাবারে পাওয়া যায়। কিন্তু সমস্যা হল যতটা পরিমাণে সে সব খনিজ পদার্থ এবং পুষ্টির উপাদান জরুরি, তা অনেক সময়ে শুধু খাওয়াদাওয়া করে পাওয়া যায় না। এমন ক্ষেত্রে সাপ্লিমেন্টে ভরসা রাখা যেতেই পারে। তবে কতটা করে খাওয়া প্রয়োজন এই সব সাপ্লিমেন্ট, তা ঠিক করতে হবে আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝে। তাই সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
কোন কোন সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন?
১) ইনোসিটল ও মায়ো-ইনোসিটল
এ হল ভিটামিনের মতোই একটি পদার্থ যা বহু ফল-সব্জিতে থাকে। ব্রাউন রাইস, লেবু, বিনের মতো নানা খাদ্যে পাওয়া যায় এটি। আবার গবেষণাগারে বানানোও যেতে পারে। এই উপাদানটি বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে, জরায়ুর কোনও সমস্যা থাকলে সারায়। আবার ঋতুচক্র স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।
২) ওমেগা-৩
এ হল এমন একটি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা নানা ধরনের সমস্যার সমাধান করে। যেমন মানসিক অবসাদ কমায়, তেমন প্রদাহ থেকে হওয়া কোনও রোগ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। পিসিওএসের রোগীদের ক্ষেত্রে এই সাপ্লিমেন্ট গ্লুকোসের বিপাক বাড়াতে পারে। তার সঙ্গে কমাতে পারে খিদের অনুভূতি। যার ফলে কমবে ওজন। এবং পিসিওএস রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই জরুরি।
৩) ক্রোমিয়াম
ওজন কমানো যেহেতু এই রোগের চিকিৎসায় খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাই বিপাক হার বাড়ানো জরুরি। চিনি এবং ফ্যাট জাতীয় খাবারে বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে ক্রোমিয়াম। রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। ব্রকোলি, বাদাম, চিংড়ির মতো কিছু খাবারে এই উপাদানটি সামান্য মাত্রায় পাওয়া যায়। তাই দেহে ক্রোমিয়ামের চাহিদা বেশি হলে সাপ্লিমেন্টের উপরেই বিশেষ ভাবে নির্ভর করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy