গবেষণায় জানা গিয়েছে, দ্রবণীয় ফাইবারগুলির ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে বেশি কার্যকার। ছবি: সংগৃহীত
অতিমারির সময়ে চিন্তা-ভাবনা যতই বেড়েছে, ততই বেশি করে আলোচনার কেন্দবিন্দুতে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গও উঠে এসছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিভিন্ন কারণে স্মৃতিভ্রংশ হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বহু দেশেই। এমন পরিস্থিতিতে জানা দরকার, কম বয়সেই কী ভাবে মনের যত্ন নেওয়া যাবে।
জানেন কি, পুষ্টিকর খাদ্য কেবল সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই নয়, আপনার খাদ্যাভাসের প্রভাব পড়তে পারে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও? সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ফাইবারযুক্ত খাদ্য স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটাতে পারে। গবেষণাপত্রটি ‘নিউট্রিশনাল নিউরোসায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। জাপানের গবেষকরা বলেছেন, উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি হ্রাস করে।
কোন ধরনের ফাইবার এ ক্ষেত্রে বেশি লাভজনক হবে, তারও হদিশ দিয়েছেন গবেষকরা। ফাইবার মূলত দু’ধরনের হয়। দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার। ওটস, বার্লি, ইসবগুলের ভুসির মতো খাবারে পাওয়া দ্রবণীয় ফাইবারগুলি অন্ত্রে বসবাসকারী উপকারী ব্যাক্টেরিয়ার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্য-সুবিধা প্রদানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অদ্রবণীয় ফাইবার, যেমন গোটা শস্য, শাকসব্জিও অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে পরিচিত। গবেষণায় জানা গিয়েছে, দ্রবণীয় ফাইবারগুলির ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে বেশি কার্যকার।
রোজকার খাদ্যতালিকায় এই ধরনের ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরি। বিভিন্ন গবেষণায় এমন তথ্যও মিলেছে, যাঁদের খাদ্যে ডায়টারি ফাইবারের মাত্রা বেশি থাকে তাঁদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এ ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস, অর্শের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।এই ধরনের খাবার কোলন ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy