কী কী অভ্যাস রপ্ত করলে বুদ্ধির ধার বাড়বে। ছবি: সংগৃহীত।
অবসর সময়টা কাটান কী ভাবে? নিশ্চয়ই পছন্দের কোনও শখ আছে। রোজের ব্যস্ততা যে ভাবে বাড়ছে, তাতে কাজ শেষ করে শখ পূরণের সময়ই পাওয়া যায় না। ফলে নিত্যদিনের কাজে একঘেয়েমি চলে আসে অচিরেই। মানসিক চাপও বাড়তে থাকে। উদ্বেগ বাড়লে আবার মনঃসংযোগের অভাব হয়। একাগ্রতা কমে। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, ব্যস্ততা থাকবেই। কিন্তু তার পাশাপাশি নিজের জন্যও কিছুটা সময় রাখতে হবে। এই সময়টাই সৃজনশীল কাজের সময় হওয়া উচিত। অনেকেই হয়তো জানেন না, এমন কিছু কাজ আছে, যা রপ্ত করতে পারলে শখ তো মিটবেই, পাশাপাশি মগজাস্ত্রেও শান পড়বে। স্মৃতিশক্তি উন্নত হবে।
আপনার এই সব শখ আছে কি?
১) বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখতে পারেন। আপনার যদি গানবাজনার শখ থাকে, তা হলে চোখ বন্ধ করে লেগে পড়ুন। মনের চাপ কমাতে সঙ্গীতের চেয়ে ভাল জিনিস হয় না। অবসরের সময়টুকু নতুন কোনও বাদ্যযন্ত্র বাজানো শিখতে পারেন। এতে মনটা সে দিকেই থাকবে। অন্যান্য বিষয়ে দুশ্চিন্তা কমবে।
২) টুকটাক সেলাই-ফোঁড়াই অনেকেই জানেন। চেষ্টা করুন নতুন করে শিখে নিতে। কাপড়ে সুন্দর কোনও নকশা ফুটিয়ে তুলুন। এই সৃজনশীল কাজে মনঃসংযোগও বাড়বে, চিন্তাশক্তিও উন্নত হবে।
৩) বই পড়ুন। ইদানীং বই পড়ার ঝোঁক কমছে বলে অনুযোগ শোনা যায়। মানুষের জীবনে প্রযুক্তি নির্ভরতা বেড়ে যাওয়াই এর অন্যতম প্রধান কারণ। টেলিভিশনও অবশ্য কম দায়ী নয়। মনোবিদেরা বলেন, সুস্থ মানসিকতার জন্য বই পড়া খুবই জরুরি।
৪) যে সময়টা অবসরের, তখন হাতে তুলে নিন ক্রসওয়ার্ড বা শব্দছক মেলানোর পাতা। বিভিন্ন পত্রিকায় শব্দছক আকছার পাওয়া যায়। এ সব সমাধানের জন্য মাথা খাটতে হয়, সঙ্গে শব্দের ভাঁড়ারও বাড়ে। গবেষণা বলছে, শব্দছকের সমাধান শুধু যে বুদ্ধিতে শান দেয় তা-ই নয়, স্মৃতিশক্তিও পোক্ত করে।
৫) নতুন ভাষা শিখতে পারেন। হয়তো বহু দিন থেকে আপনার ফরাসি বা স্প্যানিশ শেখার ইচ্ছা। সময় হয়ে ওঠে না। এখনই শুরু করুন। এমন প্রচুর অ্যাপ রয়েছে, যেখানে আপনি বিভিন্ন ভাষা শিখতে পারবেন। বেশ কিছু অ্যাপ পেয়ে যাবেন বিনামূল্যেই। কোনও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিখতে পারলে আরও ভাল। নতুন কিছু শেখার আগ্রহ আপনার বুদ্ধির বিকাশেও সাহায্য করবে।
৬) শেষ কবে হাতে চিঠি লিখে ডাকবাক্সে ফেলেছেন, এ প্রশ্ন করলে অনেকেই মাথা চুলকোবেন। লেখার অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে বহু রকম মানসিক চাপ, উদ্বেগ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। লেখার জন্য পড়তে হবে। কোনও বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি নিজের উপলব্ধি লিখে ফেলুন। হোক সেটা অল্প কথায়। আজ যদি দু’কথা দিয়ে শুরু হয়, কাল চার কথায় প্রকাশ করা কঠিন নয়। প্রতিদিন অল্প অল্প করে লিখুন। দিনের একটা সময় এর জন্য বরাদ্দ রাখুন। যে বিষয় নিয়েই লিখুন না কেন, এই অভ্যাস আপনাকে নতুন নতুন ভাবনার রসদ জোগাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy