Advertisement
১১ অক্টোবর ২০২৪
Puja Fasting

পুজোর সকালে উপোস করে অসুস্থ হয়ে পড়েন মা-ঠাকুমারা! নিয়মবিধি মেনেও সুস্থ থাকার উপায় জেনে রাখুন

বাড়ির মা, ঠাকুমা বা বয়স্কেরা সকালে উপোস করেই পুজো দিতে যাবেন। আর যদি বাড়ির বা আবাসনের পুজো হয়, তা হলে তো কথাই নেই। কোনও রকম বারণ না শুনেই তাঁরা না খেয়ে থেকেই পুজো দেবেন।

Stay fit while fasting this Durga Puja

উপোস করলে কী কী মাথায় রাখবেন? গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৯
Share: Save:

দুর্গাপুজো মানেই বিশাল আড়ম্বর, উদ্যোগ-আয়োজন আর বিস্তর বিধিনিষেধ। ষষ্ঠী থেকে দশমী বাড়ির কমবয়সিরা যতই হই-হুল্লোড় করে কব্জি ডুবিয়ে চর্ব-চোষ্য খান না কেন, প্রবীণেরা কিন্তু নিয়ম মেনেই চলেন। বাড়ির মা, ঠাকুমা বা বয়স্কেরা সকালে উপোস করেই পুজো দিতে যাবেন। আর যদি বাড়ির বা আবাসনের পুজো হয়, তা হলে তো কথাই নেই। কোনও রকম বারণ না শুনেই তাঁরা না খেয়ে থেকেই পুজো দেবেন। আর দিনের শেষে শরীরও খারাপ হবে। এখন ঘরে ঘরেই সুগার-প্রেশারের রোগী। গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও রয়েছে। তার মধ্যেই যদি উপোস করে থাকতে হয়, তা হলে নিয়ম মানতেই হবে।

এই বিষয়ে পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীর পরামর্শ, “দুর্গাপুজোর চতুর্থী থেকেই বঙ্গবাসীর মধ্যে শুরু হয় নানা রকম ব্রত-পালন। এই সব আচার-অনুষ্ঠান মেনেই মা-কাকিমাদের উপোস। সারা দিন উপোস করে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। বিশেষ করে যাঁদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি, তাঁদের জন্য অনেক ক্ষণ খালি পেটে থাকা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। সারা দিন ধরে উপোস করে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ অনেকটা কমে গেলে মাথা ঘুরে যেতেই পারে। অম্বলের সমস্যা থাকলেও শরীর খারাপ হতে পারে। রক্তচাপের রোগী না খেয়ে থাকলে বিপদ ঘটাও অসম্ভব নয়।” তা হলে উপায় কী?

উপোস করলে কী কী মাথায় রাখবেন?

১) উপোস করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সকলের শরীর এক রকম হয় না, তাই সারা দিন না খেয়ে থাকার ধকল নেওয়ার ক্ষমতাও সকলের থাকে না।

২) উপোস করলেও শরীরে জলের অভাব যেন না ঘটে। ফলের রস, ঘোল, শরবতের মতো তরল সারা দিন ধরে খেতে হবে।

৩) উপোস করলেও ওষুধ বাদ দেওয়া যাবে না। রোজের যা যা ওষুধ খান, তা খেতেই হবে।

৪) উপোস ভাঙার পরেই লুচি, মন্ডা-মিঠাই বা পোলাও খেয়ে ফেললে শরীর আরও খারাপ হবে। সহজপাচ্য খাবারই খেতে হবে। অল্প নুন দিয়ে আলু সেদ্ধ খেলেন কিংবা ছোলা দিয়ে আলুর চাট করে খেলেন। সেগুলি আপনার উপকারে আসবে।

৫) উপোস ভেঙেই তেলেভাজা কিংবা অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না। অনেকেই উপোসের পরে পুজোর মিষ্টি বা সুজি খেতে শুরু করেন। তেমন করলে শরীর খারাপ হবেই। মিষ্টি খেতে মন চাইলে খেজুর বা বাদাম খেতে হবে। অথবা কলা, দই, আখরোট ও মধু মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন।

৬) পুজোর ক’দিন দীর্ঘ ক্ষণ যদি পেট ফাঁকা রাখতে হয়, তা হলে ভাত কম খেয়ে ছোলা, মটর, মুগডাল বেশি খেতে হবে। উপোস ভেঙে অতিভোজন করে ফেললে শরীর খারাপ হবেই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE