Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Diabetes in Children

শিশুরাও কেন ভুগছে ডায়াবিটিসে? কী কী লক্ষণ দেখে না বুঝে এড়িয়ে যাচ্ছেন বাবা-মায়েরা?

ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। চিন্তার ব্যাপার হল, শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। রক্তে শর্করা বাড়লে কী কী হতে পারে, তা জেনে রাখা ভাল অভিভাবকদের।

Signs and Symptoms of Diabetes in Children

শিশুরাও আক্রান্ত হচ্ছে ডায়াবিটিসে, কী কী লক্ষণ খেয়াল করবেন বাবা-মায়েরা। ছবি: সংগৃহীত।

, আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৪ ১১:৫৪
Share: Save:

শিশু ও কমবয়সিদের মধ্যে ডায়াবিটিস মারাত্মক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। একটা সময়ে মনে করা হত, প্রাপ্তবয়স্করাই বুঝি, এই রোগের শিকার হন। এখন দেখা যাচ্ছে, শৈশবেই হানা দিচ্ছে ডায়াবিটিসের মতো নীরব ঘাতক। চিকিৎসকেদের মতে, কম বয়সে বাড়তি ওজন, বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চা না করা— এমন বিভিন্ন কারণ ডায়াবিটিসের মতো অসুখকে ডেকে আনছে। অল্পেই ক্লান্তি আসছে তাদের শরীরে। ছোটাছুটি, খেলাধূলা করার বদলে ঝিমিয়ে পড়ছে শিশু। চিকিৎসকেরা বলছেন, রক্তে শর্করা বাড়তে থাকলে তার কিছু লক্ষণ ধরা পড়ে। বাবা-মায়েরা অনেক সময়েই সে সব লক্ষণ বুঝতে পারেন না। ফলে রোগও ধরা পড়ে দেরিতে।

জেনে নেওয়া যাক, শিশুর শরীরে যদি ডায়াবিটিস বাসা বাঁধে, তা হলে তার কী কী লক্ষণ দেখা দেয়।

১. ঘন ঘন প্রস্রাব, গলা শুকিয়ে যাওয়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।

২. হঠাৎ করেই দেখবেন, শিশুর ওজন কমে গিয়েছে।

৩. বিছানায় প্রস্রাব করে ফেলে অনেক শিশুই, কিন্তু যদি দেখেন, দশ-বারো বছর বয়সের পরেও এমন হচ্ছে, তা হলে সতর্ক হন।

৪. ত্বক শুকিয়ে যায়, র‌্যাশ বা চুলকানি হতে পারে।

৫. অল্পেই ক্লান্তি, ঝিমুনি, খিদে কম, ঘুমের সমস্যা ও শরীরে সব সময় অস্বস্তি ভাব থাকবে।

৬. চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হতে পারে।

বংশগত কারণে ডায়াবিটিস হতে পারে। আবার রোজের জীবনের অনেক ভুলভ্রান্তি ডায়াবিটিসের কারণ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এখনকার ছেলেমেয়েরা বাইরে বেরিয়ে খেলতে অভ্যস্ত নয়। শিশুদের মন ভোলাতে বাবা-মায়েরা হাতে তুলে দিচ্ছেন মোবাইল। ফলে ছোট থেকেই শারীরিক কসরত কম হচ্ছে। তার উপর বাইরের খাবার খাওয়ার ঝোঁক তো রয়েছেই।

ডায়াবিটিসের কবল থেকে বাঁচাতে শিশুকে নির্দিষ্ট নিয়মে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। মা-বাবাকেও মানতে হবে কিছু নিয়ম। রান্না করতে ইচ্ছে করছে না বলে শিশুকে যথেচ্ছ ‘সাপ্লিমেন্ট’ বা বাইরে থেকে কেনা প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ালে চলবে না।

যখন-তখন বায়না করলেই চকোলেট দিয়ে বায়না মেটানো, ঘুম থেকে তুলে পড়তে বসানো— এ সব অভ্যাস বদলাতেই হবে। রাতে আট ঘণ্টা ঘুম, সকালে তাড়াতাড়ি উঠে শরীরচর্চা করা জরুরি। সেই সঙ্গে টিভি দেখার সময়ও কমিয়ে দিতে হবে। তা হলেই শিশুদের শরীর তো বটেই, মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, যা পরবর্তী সময়ে স্থূলত্ব ও ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে অনেকটাই।

অন্য বিষয়গুলি:

Diabetes Risk Child Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy