ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সারা বছর মিষ্টি না খেলেও, উৎসবের আবহে নিজেকে সামলানো কঠিন। প্রতীকী ছবি।
ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে সারা বছর মিষ্টি না খেলেও, উৎসবের আবহে নিজেকে সামলানো কঠিন। শীতের শুরু থেকে মোয়া, পাটিসাপটা পাতে পড়ছে। বড়দিনে কেক, নতুন বছরের মিষ্টিমুখও হয়েছে জমিয়ে। মিষ্টি খেয়ে একটু বেশি ক্ষণ শরীরচর্চা করে নিলে আর সমস্যা হবে না। এমন করেই মনকে বুঝিয়ে এই উৎসবের আবহে মুখে মিষ্টি পুরেছেন অনেকেই। উৎসবের ঘোরে মিষ্টি তো খেয়ে নিয়েছেন, কিন্তু পরিমাণ অত্যধিক বেশি হয়ে যায়নি তো? তা বোঝার উপায় হল শারীরিক কয়েকটি লক্ষণ। রক্তে চিনির পরিমাণ মাত্রা ছাড়িয়েছে কি না, কয়েকটি উপসর্গ দেখেই তা বুঝতে পারবেন।
ব্রণ
অতিরিক্ত মিষ্টি খেয়ে ফেলেছেন কি না, তা বোঝার অন্যতম একটি উপায় হল রাতারাতি ত্বক ব্রণতে ভরে যাওয়া। ব্রণ হওয়ার অন্যতম কারণ হল অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া। বাইরে থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া সত্ত্বেও ব্রণ হলে বুঝতে হবে আপনার মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
শারীরিক দুর্বলতা
বিভিন্ন কারণে শরীরের চনমনে ভাব হারিয়ে যেতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, পরিমাণে কম খাওয়াদাওয়া, অন্য কোনও অসুস্থতা— অনেক কিছুই থাকতে পারে সেই তালিকায়। তবে এর আরও একটি কারণ হল রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। খুব বেশি মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলে এমন হয়। তাই হঠাৎ করেই খুব দুর্বল লাগলে মিষ্টি খাওয়া বন্ধ করে দেখতে পারেন। যদি শরীর চাঙ্গা হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন মিষ্টি খাওয়ার জন্যেই হয়েছে এমন।
রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যাওয়া
শর্করা রক্তচাপের মাত্রাকেও প্রভাবিত করে। তাই রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে গেলে তার খানিকটা দায় বর্তায় মিষ্টির উপর। উচ্চ রক্তচাপের রোগী না হওয়া সত্ত্বেও যদি রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে থাকে, বেশি মিষ্টি খাওয়ার জন্যেই এমন হয়েছে বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে।
অনিদ্রা
ঘুম না আসার সমস্যার মূলেও থাকতে পারে মিষ্টির প্রতি আপনার ভালবাসা। শরীরে শর্করার পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় বেড়ে গেলে অনিদ্রা রোগ হানা দেয়। অনেক দিন ধরে এমন চলতে থাকলে কিছু দিন মিষ্টিজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকুন।
পেটের সমস্যা
গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। তবে হঠাৎই এই রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছে গেলে মিষ্টি খাওয়ায় রাশ টানুন। কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে এই ধরনের খাবার খেলে পেটের সমস্যা ভোগাতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy